শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ক্ষেতলালে  ব্যালট পেপার উদ্ধার 

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
  ৩০ মে ২০২৪, ১৪:৪৭
আপডেট  : ৩০ মে ২০২৪, ১৬:২৫
ছবি-যায়যায়দিন

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২০ দিন পর একটি ভোটকেন্দ্র থেকে অব্যবহৃত ২ হাজার ১০০ ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে।উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে মঙ্গলবার ২৮ মে ব্যালট পেপারগুলো পাওয়া গেছে। বুধবার ২৯ মে সকালে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট পেপারগুলো নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বুঝিয়ে দেন।

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন অফিসার আয়েশা খাতুন বলেন,সকালে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অব্যবহৃত ২১টি ব্যালট পেপার বইয়ের ২ হাজার ১০০ ব্যালট তাঁকে বুঝিয়ে দেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানে পদে ৭০০টি করে ব্যালট পেপার আছে। ভোট গ্রহণ শেষে অব্যবহৃত ব্যালট পেপার বুঝিয়ে দিতে হয়। ওই কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটল, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ৮ মে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন ক্ষেতলাল সরকারি ছাইদ আলতাফুন্নেছা কলেজের প্রভাষক তানজির আহমেদ সাকিব। ওই কেন্দ্রের মোট ভোটার ৩ হাজার ৭। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ওই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ১ হাজার ৯৯৭টি।

জানা গেছে, মঙ্গলবার আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের একটি আলমারি খোলা হয়। অফিস সহায়ক আলমারির ভেতরে একটি বস্তা দেখে তা খুলে ভেতরে অব্যবহৃত ২১টি ব্যালট পেপারের বই পান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানান।

পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে জানান প্রধান শিক্ষক। নির্বাচন অফিসার ব্যালট পেপারগুলো বিদ্যালয়ের পিয়নের মাধ্যমে তাঁকে তাঁর কার্যালয়ে পৌঁছে দিতে বলেন।

বুধবার ২৯ মে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার তানভির আহমেদ সাকিব ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসানের কাছ থেকে ব্যালট পেপারগুলো বুঝে নেন। এরপর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে তিনি ব্যালট পেপারগুলো জমা দিয়েছেন।

আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসান বলেন,ভোটের পর মঙ্গলবার আমরা আলমারি খুলেছি। আলমারির ভেতরে একটি বস্তায় অব্যবহৃত সাতটি ব্যালট পেপারের বই পেয়েছি। ইউএনও স্যারকে ঘটনা জানানোর পর আজ সকালে প্রিসাইডিং অফিসার তানভির আহমেদ সাকিব বিদ্যালয়ে এসে ব্যালট পেপার নিয়ে গেছেন। আমরা ব্যালট পেপার বুঝিয়ে দেওয়ার কাগজপত্র রেখেছি।’

জানতে চাইলে প্রিসাইডিং অফিসার তানভির আহমেদ সাকিব প্রথমে ব্যালট পেপার জমা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন,নির্বাচনের প্রায় এক মাস হতে চলেছে। ভোট শেষে অব্যবহৃত ব্যালট জমা দিয়েছি। ভোটের এতোদিন পরে জমা দিয়েছেন কেনো জানতে চাইলে,তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন, সহকর্মীরা ভুল করে অব্যবহৃত ব্যালট পেপারগুলো ছেড়ে এসেছিলেন। ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে ব্যালটগুলো এনে নির্বাচন অফিসে জমা দিয়েছেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে