ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্যাকেজ মূল্যে যে চাল বিক্রি করছে, তা ভাঙা ও দুর্গন্ধ বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১১ই জুন) নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নে এ ধরনের চাল বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।

ভাঙ্গা ওদূর্গন্ধযুক্ত চাল বিক্রি সম্পর্কে গনমাধ‍্যম কর্মীকে টিসিবির ডিলার মেসার্স মজুমদার ট্রেডার্স স্বত্বাধিকারী জিল্লুল মজুমদার । তিনি বলেন, আমাদের কাজ শুধু ডিও করে গাড়ি দিয়ে উপজেলা খাদ‍্যগুডাম থেকে পন‍্য সরবরাহ করা,খাদ্য বিভাগ আমাদের যে চাল দিবে আমরা তাই বিক্রি করব। ফলে যেমন চাল পেয়েছি, আমরা তেমনটাই বিক্রি করছি।

ভোক্তাদের অভিযোগ, বুড়িঘাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৭০ টাকা প্যাকেজ মূল্যে দুই লিটার তেল, দুই কেজি ডাল, পাঁচ কেজি চাল বিক্রি করা হয়। অন্যান্য পণ্যে সমস্যা না থাকলেও চালে দুর্গন্ধ ও ভাঙা ছিল। খাওয়ার উপযোগী না হওয়ায় অনেকে এসব চাল বিক্রি করে দিয়েছেন।

বুড়িঘাট গ্রামের বাসিন্দা ও টিসিবির কার্ডধারী নুরু ইসলাম বলেন, ‘একে তো চালে দুর্গন্ধ আর পচা ভাঙা । দুর্গন্ধ এত বেশি যে তা খাওয়ার উপযোগী নয়। এসব চাল খেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে।

চৌগাছায় কৃষকের ১ বিঘা ফলন্ত ড্রাগন গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

বাদশা মিয়া ও যোতিময় চাকমা এলাকার বাসিন্দা ও টিসিবির কার্ডধারী বলেন নিরুপায় হয়ে এই ধরনের চাল নিতে হয়েছে। তারা বলেন, ‘এই চাল খাওয়া যায় না। এগুলো খেলে অসুস্থ হয়ে যাবো।’

একই এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর ও পূর্ব হাতিমারার রনি ত্রিপুরা বলেন, ‘টিসিবি থেকে কেনা চালে দুর্গন্ধ আর আর ভাঙা । এই চাল খাওয়া যায় না। আমি আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিব ভাবছি,কেউ এই চাল কিনবে মনে হয় না।’

এই বিষয়ে গনমাধ‍‍্যমকর্মী নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খানকে মুঠোফোনে অবগত করা হয়েছে,তিনি ব‍িষয়টি তদন্তের আশ্বস্ত করেছেন।

যাযাদি/এসএস