যমুনা নদীর পানিতে বর্ষার মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে বাচামারা ইউনিয়নের বাগসাস্টা,চরভারাঙ্গা,সুবুদ্ধি, পাচুরিয়া,বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পারুরিয়া বাজার,বাঘুটিয়া বাজার,চরকালিকাপুর,কাশিদারামপুর,ব্রামদি,এলাকায় ভয়াবহ ভাঙ্গনে শতাধিক বসত ঘরবাড়ী সহ আবাদী জমি বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাই স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, বাজার যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে । পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় দুই কোটি টাকার জিওব্যাগ কোন কাজেই আসছে না নদী পাড়ের মানুষ গুলো দুচিন্তায় দিন কাটাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হটাৎ করেই বাচামারা ইউনিয়নের বাগসাস্টা,চরভারাঙ্গা,সবুদ্ধিয়া পাচুরিয়া, বাঘুটিয়ার পারুরিয়া এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ।
দুদিন যাদের ঘড়বাড়ি জায়গা জমি সবকিছু ছিল এখন তাদের মাথা গোজার ঠাঁই নাই। যমুনা নদীর চরে অন্যের জমিতে ঘরের চাল কাউড়া দিয়ে খোলা আকাঁশের নিচে বসবাস করছে ।
ভাঙ্গনের শিকার ঠান্ডু সরদার, সোনাই সেক জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর ভাঙ্গন ব্যাপক ভাবে শুরু হয়েছে।এতে প্রায় শতাদিক বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে গেছে।
এছাড়া ১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকালীকাপুর শুকুিরয়া দাখিল মাদ্রাসা, বাঘুটিয়া আলিম মদ্রাসা ৪ তলার ১ টি ভবন ও ২য় তলা ১ টি ভবন ভাঙ্গনের হুমকির মুখে ।
বাচামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার জানান, বাগসাস্টা,চরভারাঙ্গা,সবুদ্ধিয়া পাচুরিয়া, বাঘুটিয়ার পারুরিয়া এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে । হুমকির মুখে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাই স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, বাজার । দ্রæত এখানে বালি ভরে জিও ব্যাগ ড্যাম্পিং প্রয়েজন ।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মঈন উদ্দিন এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যমুনা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে । বাজেট চেয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে অনুমোদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিয়ান নুরেন জানান, আমি পানি উন্নযন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বরে দেখবো।
এদিকে নদীর পাড়ে লোকজন তাঁদের ঘরবাড়ি বসতভিটা, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, বাজার রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
যাযাদি/এসএস