বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হুমায়ূনের ৭৬তম জন্ম বার্ষিকী: নুহাশপল্লীতে ১০৭৬ মোমবাতি প্রজ্বলন-কেক কর্তন 

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১:০৯
ছবি : যায়যায়দিন

নানা আয়োজনে বুধবার গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশপল্লীতে এক হাজার ছিয়াত্তুরটি মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। এতে পুরো নুহাশপল্লী আলোকিত হয়ে উঠে।

পরে সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জন্মদিনের কেক কেটে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনের কর্মসূচি শুরু করে। সকালে নুহাশপল্লীতে আসেন হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নিশাত।

পরে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, তার ছেলে নিনিত ও শাওনের পিতা মোহাম্মদ আলী নুহাশপল্লীতে আসেন।

শাওন তার দুই ছেলে পিতা ও নুহাশপল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

নুহাশপল্লীর লিচুতলায় চির নিদ্রায় শায়িত হুমায়ূন আহমেদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাতে শরিক হন তার পরিবারের সদস্য এবং বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী।

সকাল ১১টার দিকে নুহাশপল্লীর হোয়াইট হাউজের সামনে দুই ছেলেকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম দিনের কেক কাটেন শাওন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, নুহাশপল্লীটা হুমায়ূন আহমেদ করেছিলেন গাছ লাগানোর জন্য। হুমায়ূন আহমেদ বলতেন বাংলাদেশের মাটিতে হয় এমন সমস্ত গাছ এখানে থাকবে। গাছের প্রতি প্রেম ও ভালবাসার কারণে নুহাশপল্লীটা তৈরী হয়েছে। যখন যেখানেই দূর্লভ কোন গাছ পাওয়া যায় তা আমরা সংগ্রহ করে নুহাশপল্লীতে রোপন করি। গাছ দিয়েই নুহাশপল্লীর পরিচয় হচ্ছে গাছের মাধ্যমে। তাই নুহাশপল্লীকে নিয়ে নতুন করে কোন পরিকল্পনা আপাতত নেই।

তিনি জানান, নুহাশপল্লীতে একটি স্যুটিং ফ্লোর ছিল সেটি এখন অচল হয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর কিছু কাজ ওই ফ্লোরে করা হয়েছিল। এখন সেটিতে কোন কাজ করা হয় না তাই এটি এখন অচল হয়ে পড়ে আছে।

হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে হলুদ পাঞ্জাবী ও শাড়ি পড়ে একদল হিমু নুহাশপল্লীতে এসে হুমায়ূন আহমেদের কবরে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা নুহাশপল্লীতে আসেন।

১৯৪৮ সালের এই দিনে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছায়া সুনিবিড় প্রত্যন্ত কুতুবপুর গ্রামে বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের কোলে জন্মগ্রহণ করেন।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণে করেন। পরে ২৪ জুলাই তাকে নুহাশপল্লীর লিচু তলায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে