সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্মরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ স্মরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় কথা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত, আহত পরিবারদের সদস্য, নিহতদের পরিবারের সদস্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, শিক্ষা কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আমিমুল ইহসান তৌহিদ, উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি শামছুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী'র নায়েবে আমির ও রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আবুল কালাম বিশ্বাস, সাবেক রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুস সাত্তার, সলঙ্গা জামায়াতে ইসলামীর আমির রাশেদুল ইসলাম শহীদ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রানা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব গোলাম মুক্তাদির, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী শেখ রিয়াদ, ফয়সাল আহমেদসহ আন্দোলনে আহত, আহত পরিবারের সদস্য, নিহত পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ। আহত শিক্ষার্থী ও নিহত পরিবারের সদস্যদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন।
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লোমহর্ষক হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের গল্প শোনান শিক্ষার্থীরা। এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে হামলার শিকার হয়ে আহত, কারাবরণকারী শিক্ষার্থীরা আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। অশ্রুশিক্ত নয়নে কথা বলেন ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হওয়া রায়গঞ্জের সন্তান নজরুল ইসলামের স্ত্রী। শিক্ষার্থী শিহাব জানান, আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছে দুঃখ নাই, তবে ওই ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসদের বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। সেই সাথে নিহত পরিবার ও আহতদের পূর্নবাসনকরা সহ উন্নত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
সবশেষে সমাজকর্মী এম আব্দুল্লাহ সরকারের পরিচালনায় আহত, নিহত ও বর্তমান বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
যাযাদি/এআর