নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে স্বপদে বহালের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এরই প্রেক্ষিতে রবিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান তার কিশোরগঞ্জের বাসা থেকে এক বিশাল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে পরিষদে আসেন এবং সকলের খবর নেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের গত ২৫ মার্চ বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ১০১ এবং ১০২ ধারা অনুযায়ী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউপি-১ শাখা, ঢাকার স্মারক নং ৪৬.০০.০০০০.০০০.০১৭.৯৯.০০৪৪.২২.৬৮৪ তারিখ ২৭/১০/২০২৪ খ্রি. মুলে বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটনকে আর্থিক ক্ষমতা থেকে অব্যাহতি দিয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার জাকির হোসেনকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ দেন স্থানীয় সরকার বিভাগ।
সেই আদেশের বিরুদ্ধে গত ১৩ এপ্রিল মাসে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটন। আদালত রিট পিটিশনের ভিত্তিতে পূর্বের আদেশ স্থগিত করে আগামী ৬ মাসের জন্য বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে পূনর্বহাল করে চলতি মাসের গত ২৪ এপ্রিল ০৫.৪৭.৭৩০০.০১১.০২.০১৮.২২.১৯৪ নং স্মারকে স্বপদে দায়িত্ব পালনে আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
সেই আদেশের পর রবিবার সকালে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটনকে দায়িত্ব গ্রহনের চিঠি দিলে খবর পেয়ে এলাকার মানুষ মধ্যে বাধ ভাঙ্গা উল্লাসে ফেটে পড়েন। এলাকার সাধারণ মানুষ চেয়ারম্যানকে তার কিশোরগঞ্জের বাসা থেকে এক বিশাল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে পরিষদে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন বয়সী মানুষ চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হান্নান। চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটন বলেন, আমার পরিষদের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ নাই, একটি ইউনিয়নের উন্নয়ন করার লক্ষ্যে সকল ইউপি সদস্য ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা দরকার। আমি সকল সদস্যদের বাড়ীতে গিয়েছি সকল ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটানোর জন্য।
কিন্তু তারা আমার ডাকে সাড়া দেয়নি কিছু ব্যক্তির ইন্ধনে। আমি আবারো তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাবো একটি সুন্দর পরিষদ গঠনের জন্য সেই সুন্দর পরিষদ গঠনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
যাযাদি/ এম