পাইকগাছা পৌরসভার সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির আদায়কারী কবিতা দাশ হামলা, মারপিট ও লুটপাট সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
তিনি সোমবার দুপুরে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে একই এলাকার মোস্তফা মোড়ল ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে কবিতা দাশ বলেন এলাকায় আমার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে এজন্য পৌরসভার ৪.৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড থেকে একাধিকবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি।
জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির প্রধান নির্বাহী ও সাবেক কাউন্সিলর আলাউদ্দিন গাজী আমার উপর বিশ্বাস এবং আস্থা রেখে অত্র সমিতির আদায়কারী হিসেবে আমাকে নিয়োগ প্রদান করেন। আদায়কারী হিসেবে আমি সমিতির যথাযথ দায়িত্ব পালন করে এসেছি। গ্রাহকদের নিকট থেকে আদায়কৃত অর্থ সমিতির পরিচালনা পর্ষদের নিকট জমা দিয়েছি। যার জমা রশিদ সংগ্রহে রাখি। পরবর্তীতে সমিতির অর্থ নিয়ে টানাপোড়ন দেখা দিলে পরিচালনা পর্ষদের সাথে সাধারণ গ্রাহকরা আমাকেও দায়ী করতে থাকে।
এক পর্যায়ে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে গ্রাহকরা পরিচালনা পর্ষদের উপর চড়াও হয়। এসময় গ্রাহকদের সাথে সমন্বয় করার স্বার্থে জাকির হোসেন এর নিকট পরিচালনা পর্ষদ জাকির হোসেন কে একাধিক চেক প্রদান করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তন হলে জাকির হোসেন মোস্তফা মোড়লের সাথে হাত মেলায় এবং আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় তারা লোকজন নিয়ে ১৬ মে আমার বাড়িতে হামলা করে। এসময় তারা আমাকে মারপিট ও ভাংচুর করে এবং আমাকে এবং আমার পরিবার কে উচ্ছেদ করে বাড়ি দখল করার হুমকি দেয়।
বর্তমানে কন্যা সন্তান নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছি উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উল্লেখ্য জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি কতৃপক্ষের নিকট সাধারণ গ্রাহকরা তাদের জমা কৃত ফেরত পাওয়ার জন্য বিগত ৩ বছর দাবি জানিয়ে আসছে। টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বিক্ষুব্ধ সাধারণ গ্রাহকরা ইতোমধ্যে সমিতি কার্যালয় ঘেরাও সহ সড়ক অবরোধের কঠোর কর্মসূচি পালন করেছে। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সমবায় দপ্তর উভয় পক্ষ কে নিয়ে বসাবসি করলেও এখনো পর্যন্ত এর কোন সুরাহা হয়নি।