নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক মামাদ্রাসা শিক্ষার্থী ছেলেকে (১৩) বলাৎকার করতে না পেরে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনায় হাফেজ জোবায়ের আহমদ (২৮) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে আড়াইহাজার থানা পুলিশ।
সে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার নোয়াদিয়া বাজার এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ৪ টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের লালুর কান্দি গ্ৰামে গ্রেফতারকৃত জুবায়েরের শ্বশুরবাড়ি শফিক মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ঘটনায় ভিকটিম ছেলেটির মা মাসুদা বেগম বাদী হয়ে সোমবার (১৬ জুন) থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী মাসুদা বেগম ছেলের জবানবন্দী অনুযায়ী জানান, তার ছেলে (১৩) এবং অভিযুক্ত জুবায়ের নরসিংদীর ফয়দাবাদ চাঁদ পাশা জিয়াউল মাদ্রাসায় একসাথে পড়াশোনা করে। গত ১১ই জুন বুধবার রাতে আমার ছেলেকে নিয়ে জুবায়ের শ্বশুরবাড়ি আড়াইহাজার নিয়ে যায়।
যাওয়ার পথে তাকে একটি জুস খাওয়ানো হয়। পরে তার চোখে নিদ্রা চলে আসে । সেখানে রাতে তারা দুজন এক বিছানায় শুয়ে থাকলে জুবায়ের ছেলেটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং তাতে ব্যর্থ হয়ে সে ছেলেটির দু্ই অন্ডকোষ কৌশলে কেটে ফেলে।
তখন ছেলেটি চিৎকার শুরু করলে জুবায়ের তড়িঘড়ি করে তাকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
অভিযুক্ত জুবায়ের তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি না করে তাকে গোপনে নরসিংদীর পুঠিয়া বাজার এলাকার হোনাতলা জুবায়েরের ফুফুর বাড়িতে নিয়ে আসেন। তার ফুফুর বাড়িতে ওই দিন (১২ জুন) বৃহস্পতিবার কয়েক ঘন্টা রাখার পর ছেলেটির অবস্থার অবনতি হলে জুবায়ের তাকে ওই দিনই সন্ধ্যায় নরসিংদী সরকারি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বর্তমানে সে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই নরসিংদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোববার দিবাগত রাতে জুবায়েরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দিয়ে সোমবার নারায়ণগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।