চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আঞ্জুমান সুলতানার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভূমি উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
সদর উপজেলার ৩নং ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হক মতু অভিযোগ করেছেন, তার স্ত্রীর নামে জমির খারিজ ও খতিয়ানের দাগ সংশোধনের জন্য তিনি সদর এসিল্যান্ড অফিসে মিস কেস দাখিল করেন।
তহসিলদার ও সার্ভেয়ার তার স্ত্রীর পক্ষে প্রতিবেদন দিলেও, এসিল্যান্ড আঞ্জুমান সুলতানা বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে সার্ভেয়ার সাকলাইন এসিল্যান্ডের নামে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় চলতি বছরের ১২ মার্চ তার স্ত্রীর নামে খারিজের আবেদন না মঞ্জুর করা হয়।
আশরাফুল হক মতু জানান, স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি নিজের নামে খারিজের আবেদন করেন। এ বিষয়ে এসিল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করলে তার কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না চাইলে তার আবেদনটি স্থগিত করে রাখা হয়। গত সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে তিনি এসিল্যান্ডের সাথে দেখা করে কাজটি দ্রুত শেষ করার অনুরোধ করলে, এসিল্যান্ড তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং পুলিশ দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী আশরাফুল হক মতু সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে দুর্নীতিমুক্ত ও ঘুষমুক্ত করার দাবিতে ভূমি উপদেষ্টা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি মনে করেন, সুষ্ঠু তদন্ত হলে তার মতো আরও অনেক ভুক্তভোগীর অভিযোগ বেরিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নূরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে এবং যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, এসিল্যান্ড আঞ্জুমান সুলতানা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, হয়তো অসৎ উদ্দেশ্যে বা কারো প্ররোচনায় এই অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, অভিযোগকারীর কাগজপত্র সঠিক না থাকায় তাকে সঠিক কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে এবং কাগজপত্র ঠিক থাকলে নিয়ম অনুযায়ী খারিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।