দলের এক নেত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে। এনিয়ে একাধিক অডিও ও স্ক্রিনশটও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর পর থেকে সারোয়ার তুষারের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীনের।
তুষারের ফোনকলের অপরপ্রান্তে থাকা নারী দাবি করে তাজনুভার নাম ও ছবিসহ অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাজনুভা। বিষয়টি নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আজ মঙ্গলবার একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তাজনুভা বলেন, শুধু এটুকু বলি, যার অডিও আমার নামে বলে ফটোকার্ড, ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে ভরায় ফেলছেন, আমি বা আমরা খুব সহজে তার নাম প্রকাশ করে আমার বিরুদ্ধে হওয়া এই জঘন্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করতে পারি। আমরা তার নাম পাল্টা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছি।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে আসার পর দ্বিতীয়বারের মত খুব পরিকল্পনামাফিক এই ভয়াবহ সাইবার আক্রমণ চালানো হচ্ছে আমাকে ঘিরে। আমি শুধু বুঝি, আমার কথা বা লেখা গুরুত্বপূর্ণ না হলে এত মানুষ আমাকে নিচে নামানোর এত আপ্রাণ চেষ্টা করত না। এসবের উত্তর 'সময়' অবশ্যই দিবে। আল্লাহ ভরসা।
এদিকে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নোটিশ প্রদান করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় উক্ত বিষয়ে আপনার সুনির্দিষ্ট অবস্থান ও ব্যাখ্যা আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব মো. আখতার হোসেন জানতে চেয়েছেন।’
‘এমতাবস্থায় উত্থাপিত নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগের কারণে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী পাঁচ (০৫) দিনের মধ্যে ‘রাজনৈতিক পর্ষদ’ এবং এই বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি বরাবর প্রেরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।’