শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
নাগরপুরের সেহরাইল সড়কে কাওনহোলা সাঁকো

চব্বিশ গ্রামের যাতায়াতের ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
  ২০ জুন ২০২৫, ১৬:৫০
চব্বিশ গ্রামের যাতায়াতের ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো
ছবি: যায়যায়দিন

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের কাওনহোলা এলাকায় একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগে রয়েছে ২৪ গ্রামের মানুষ। সরকারি স্থায়ী সেতু না থাকায় এলাকাবাসী নিজেদের অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ২৬০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশ ও কাঠের সেতু তৈরি করে। বর্তমানে ওই অস্থায়ী সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে ২৪ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সেতুটি মেঘনা বনগ্রাম বাজার থেকে কাওনহোলা হয়ে ধুবড়িয়া ইউনিয়নের সেহরাইল সড়কে অবস্থিত।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাঁকোটি আপাতত: ব্যবহার উপযোগী থাকলেও এর কাঠামো নড়বড়ে এবং যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, বর্ষা মৌসুমে সাঁকোতে চলাচল আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রতিদিন মালামাল আনা-নেওয়া করতে তাদের ওই সাঁকো ও রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। বর্ষায় অবস্থা এত খারাপ হয় যে, মালামাল আনা-নেওয়াই বন্ধ হয়ে যায়। সাঁকোটি পুরনো হয়ে গেছে, যেকোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে। একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হলে স্থানীয়দের জীবনমান ও ব্যবসা বাণিজ্য সহজতর হতো।

কাওনহোলা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল কাদের জানান, ওই বাঁশ-কাঠের সাঁকো দিয়েই মুসল্লি, শিক্ষার্থী, রোগীসহ সবাই যাতায়াত করে থাকে। বর্ষার সময় সাঁকো ও রাস্তায় হাঁটাও সম্ভব হয় না। এমনকি মরদেহ দাফনেও কষ্ট হয়। তিনি ওখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করার দাবি জানান।

ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফর রহমান বাবুল জানান, এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত এই বাঁশ-কাঠের সাঁকোই এখন পর্যন্ত ২৪ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। তবে পাকা সেতু না থাকায় ও সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগে ভুগছে। তারা একাধিকবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. তোরাপ আলী জানান, ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকে বনগ্রাম বাজার হয়ে সেহরাইল পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ৩০০ মিটার রাস্তা এবং কাওনহোলা খালের ওপর ৪০ মিটার দীর্ঘ একটি গার্ডার বৃজ নির্মাণের প্রাক্কলণ তৈরি করে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে দ্রæত বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে