পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মায় সাড়া ঘাটে আওয়ামী লীগের স্বশস্ত্র গোষ্ঠীর একের পর এক মহড়া চলছেই। গণমাধ্যমে ফিল্মি স্টাইলে একাধিক মহড়ার সংবাদ প্রকাশের পরও এখনো থামেনি তাদের অস্ত্রের মহড়া। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় বালু ব্যবসা, কৃষক ও জেলেরা।
রোববার (২২ জুন) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের সাড়া ঘাটে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তারা বলেন, ঘাটে বৈধ ইজারাদার হওয়ার পরও তারা আওয়ামী লীগের স্বশস্ত্র গোষ্ঠীর মহড়ায় বালু ব্যবসা করতে পারছেন না।
পাশের লালপুরের আওয়ামী লীগের কাকন বাহিনীর মাঝে মধ্যেই পদ্মা নদীতে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। এর আগে গত ৫ জুন সাড়া ঘাটে বালু মহলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ফিল্মি স্টাইলে অস্ত্রের মহড়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
সেই ঘটনাতে মামলা হলেও অস্ত্রধারীদের এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। বরং গতকালও তারা আবারও স্বশস্ত্র মহড়া দিয়েছে। পুলিশ ঘাটে থাকলে তারা কোনো একশনে যায়নি।ঘাটের সরকারি ইজারাদার মেহেদী হাসান বলেন, কাকন বাহিনীর অস্ত্রের মহড়া, গুলিবর্ষণ, লুটপাট ও মারধরের একাধিক ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে।
এসব মামলার পর থেকেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার ও মিথ্যা অভিযোগ করে যাচ্ছে কাকন বাহিনীর লোকজন। তাদের ভয়ে স্থানীয় কৃষকরা পদ্মার চরে কৃষি কাজে যেতে পারছেন না, জেলেরাও মাছ ধরতে পারছেন না।
নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশের কোনো প্রশ্রয়ে তারা এমন মহড়া সাহস পাচ্ছেন বলে স্থানীয় মনে করছেন। পুলিশ প্রশাসনের কর্মকান্ডে বৈধ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।সংবাদ সম্মেলনে ঘাটের সরকারি ইজারাদার মেহেদী হাসান, বালু ব্যবসায়ী কৃষকদের মধ্যে রবিউল ইসলাম রাজু, আফজাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, মালেক জোয়াদ্দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদীর লক্ষীকুণ্ডা নৌপুলিশের ইনচার্জের সঙ্গে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ঈম্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আ স ম আব্দুন নুর বলেন, ‘তাদের (অভিযোগকারীদের) কথা উদ্ভট কথা। এসবের কোনো ভিত্তি নেই। সেখানে আমাদের পুলিশ মোতায়েন করা আছে। তবে নদীর মধ্যে কোনো মহড়া হয়েছে কিনা জানি না। নদীর মধ্যে দেখার দায়িত্ব আমাদের না।’