বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদ ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে।
মঙ্গলবার সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারীরা সকাল ৮টা হতে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা কর্মবিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
প্রস্তাবিত ৬ দফার দাবিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন সাঘাটা উপজেলার সভাপতি মোঃ শফিউল আলম সুজন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সবুজ মিয়া এবং সদস্য সাবিনা ইয়াসমিনসহ উপস্থিত স্বাস্থ্য সহকারীগণ।
বক্তব্যে স্বাস্থ্য সহকারীরা বলেন, মানব শিশুর জন্মের পর থেকে ১০টি মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য প্রতিষেধক হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে আমরা স্বাস্থ্য সহকারীরাই টিকা প্রদান করে থাকি।
আমাদের এ টিকা প্রদানের কাজটি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল হলেও,আমরা টেকনিক্যাল পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া আমরা দীর্ঘদিন থেকে টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবি করে আসলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ বাস্তবায়ন না করায় স্বাস্থ্য সহকারীরা সরকারের অন্যান্য দফতরের কর্মচারীদের থেকে পদমর্যাদাসহ বেতন-ভাতার বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
বক্তরা বলেন, আমাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেক্টরের সকল আন্তর্জাতিক অর্জন হওয়া সত্ত্বেও বিগত সরকার আমাদের শুধু আশার বাণীই দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। তাই আমাদের নিয়োগ বিধি সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযোজন,১৪তম গ্রেড প্রদান ও ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদার বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ প্রস্তাবিত ৬ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি পালন করছি।
তারা আরও বলেন, আমরা এ কর্মবিরতি পালনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি ও আবেদন দিয়ে আমাদের দাবি ও কর্মসূচির বিষয়ে অবগত করেছি। কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না করেন, তাহলে আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন বন্ধের ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় দাবি বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এই ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা আরও শক্তিশালী ও টেকসই হবে। তারা আশা করছেন,বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্যের শিকার দেশের ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারীদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে তাদের প্রস্তাবিত ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন করবেন।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাবিত সুপারিশ সমূহের বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞাপন জারি এখন স্বাস্থ্য সহকারীদের সময়ের দাবি। প্রস্তাবিত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে তারা জানান।