নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির চার স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান ওরফে মিজানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার হেফাজত থেকে তিনজন ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদেক খান রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ফতুল্লার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।
মিজানুর রহমান বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরাল পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত আবু তালেব শিকদারের ছেলে। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর রায়ের বাজার প্রেমতলা সাদেক খান রোড এলাকার ফারুক মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষক মিজান চলতি জুন মাসের ৬, ১১ ও ২৩ তারিখে স্কুলের দশম শ্রেণির চারজন ছাত্রীকে একে একে কৌশলে ঢাকায় নিয়ে যান।
সেখানে একটি ভাড়া বাসায় তাদের একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ২৩ জুন একজন ছাত্রীকে একই কৌশলে নিয়ে গেলে, ওই ছাত্রী ২৪ জুন কৌশলে পালিয়ে আসে। এরপর বিষয়টি পরিবারকে বিস্তারিত জানায়।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, মিজান ঢাকায় বসবাস করলেও ফতুল্লার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে আর্ট ও কম্পিউটার ক্লাস নিতেন। প্রতি শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকায় তিনি শিক্ষার্থীদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ঢাকায় নিয়ে যেতেন এবং সেখানে ধর্ষণ করতেন।
ওসি শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেপ্তার মিজান একজন বিকৃত রুচির ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে ঢাকার একটি থানায় পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের মামলা আগেই রয়েছে।