নাটোরের বড়াইগ্রামে নিখোঁজের ছয় ঘণ্টা পর মিনহাজ হোসেন আবির (১০) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিশু বনপাড়া পৌরসভার মহিষভাঙ্গা মহল্লার কাতার প্রবাসী মিলন হোসেনের একমাত্র ছেলে। সে বনপাড়া আদিব ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে আবির মায়ের মোবাইল ফোনসহ নিজের সাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধার পরেও বাসায় না ফেরায় পরিবারের সবার মাঝে উদ্বিগ্নতা ছড়িয়ে পরে। তাৎক্ষনিক ভাবে সন্ধান চেয়ে বনপাড়া বাজারসহ আস-পাশের এলাকায় মাইকিং করে আবিরের সন্ধান চাওয়া হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মহিষভাঙ্গা পাটোয়ারী তেল পাম্পের কাছে তার বাইসাইকেলটি রক্তমাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে আরও খুজাখুঁজির এক পর্যায়ে মহাসড়কের পাশে নির্মানাধীন মসলা ফ্যাক্টোরীর মধ্যে কাশবনের ঝোঁপের আড়াল থেকে মাথা থেঁতলানো লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তার কাছে থাকা মোবাইলটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছিলাম। এরপরই খবর পাই রক্তমাখা সাইকেলের। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি সু-পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলেই মনে হচ্ছে। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে।