শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

তাপদাহ থাকায় ঝালকাঠিতে পেয়ারার ফলন কম

মো. নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি
  ২৮ জুন ২০২৫, ১৫:৩৫
তাপদাহ থাকায় ঝালকাঠিতে পেয়ারার ফলন কম
ছবি: সংগৃহীত

প্রচণ্ড রোদ ও তাপপ্রবাহে ফলন কমেছে ঝালকাঠির পেয়ারার। প্রতি বছরের চেয়ে এবার ফলন কম হলেও ন্যায্য দামের আশায় বুক বেঁধেছেন চাষি ও বাগান মালিকরা। তবে আরৎদাররা বলছেন এবার পেয়ার দাম বিগত বছরগুলোর তুলনায় একটু বৃদ্ধি পাবে।

শুক্রবার (২৭ জুন) ঝালকাঠির ভিমরুলীতে বাগান ঘুরে দেখা যায়, পেয়ারা পরিপক্ব হয়ে বাজারে আসতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে। ওই সময়ে পাইকারদের হাকডাক ও পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়ে মুখরিত হবে ঐতিহ্যবাহী পেয়ারার রাজ্য ও ভিমরুলী গ্রামের ভাসমান পেয়ারার হাট।

চাষিরা জানান, এবার গাছগুলোতে দেরিতে ফুল এসেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় সেই ফুল অনেকটাই ঝরে পড়েছে। আষাঢ় মাস শুরু হলেও এখনো পেয়ারা বিক্রির উপযোগী হতে আরও ১৫দিন সময় লাগবে। তাই বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

কৃষি বিভাগ, বাগান মালিক ও চাষিদের সাথে কথা বলে জানাগোলো ঝালকাঠি জেলার ১৩ গ্রামে ৩৫০ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ হয়। এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষের কাছে পেয়ারা জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। আষাঢ়-শ্রাবণের ভরা বর্ষায় এসব এলাকার নদী-খালজুড়ে পেয়ারার সমারোহ থাকে।

তবে এ অঞ্চলে হিমাগার না থাকায় প্রতি বছরই নষ্ট হয়ে যায় মণ কে মণ পেয়ারা। বর্তমানে আমড়ার দাম চড়া থাকায় চাষিরা পেয়ারার থেকে আমড়া চাষে মনোযোগী হচ্ছে বলেও জানান অনেক।

কৃষক সুধির মালাকার বলেন, 'মাঘ-ফাল্গুন মাসে পেয়ারা গাছের গোড়া পরিষ্কার করে সার প্রয়োগ করতে হয়েছে। এরপরে কাদা মাটি দিয়ে গোড়া ঢেকে দিয়েছি।

তাতে প্রতিটি গাছের গোড়ায় গড়ে তিনশোর বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে। পেয়ারা গাছে যে পরিমাণ ফুল এসেছিল এ বছর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তা অনেকটাই ঝরে পড়েছে।

আরেক চাষি অমিতাব মন্ডল কৃষক বলেন, পানির ওপর ভাসমান হাটে বছরে কোটি টাকার লেনদেন হয় এ অঞ্চলে। এবার পেয়ারার ফলন কম হওয়ায় পাইকার আগমনসহ সবকিছুতেই একটা খারাপ প্রভাব পড়বে।

আমাদের এই অঞ্চলে যদি একটি হিমাগার এবং জেলী তৈরির কারখানা থাকতো তাহলে পেয়ারা চাষি ও বাগান মালিকরা সাড়া বছর এই ব্যবসা নিয়ে থাকতে পারতো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে