শেরপুর সদর উপজেলার ৮নং লছমনপুর ইউনিয়নের ৬নং ওর্য়াডের হাতিআগলা হতে কুসুমহাটি বাজার ফিডার রোড পযর্ন্ত প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করলেন সাবেক কুসুমহাটি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও প্রয়াত লিয়াকত আলীর ছেলে মো. মাসুদ রানা, স্থানীয় সাবেক তিন মেম্বার ও মহল্লাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার করা হয়।
একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে রাস্তাটি কাঁদার সৃষ্টি হয়। এতে এলাকাবাসী ও সাধারন মানুষের অসুবিধা দেখে হাতি আগলা গ্রামের লছমনপুর ইউনিয়নের সাবেক ৬নং ওর্যাডের তিন ইউপি সদস্য মো. খাদেম আলী, জুলহাস উদ্দিন বাদশা ,এরশাদ আলী ভূষন,ও স্থানীয় শামসুল হক, অতু মো. কাশেম আলী মাষ্টার ,মো. সাইফুল ইসলাম মাষ্টার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে নিজেদের সেচ্ছাশ্রমে প্রায় আরো ১ হাজার মানুষ কোদাল দিয়ে মাত্র তিন ঘন্টায় মাটি কেটে স্বেচ্ছায় এ রাস্তা সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন।
এ বিষয়ে মাসুদ রানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এলাকাবাসী যার যার অবস্থান থেকে জমি দান এবং আমার প্রজেক্টের সামনে থেকে কুসুম হাটি বাজার পযর্ন্ত আমার জায়গা পড়েছে, আমি নির্দ্বিধায় দান করেছি ।
লছমনপুর ইউনিয়নে সাবেক ইউপিঃ সদস্য খাদেম আলী বলেন দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে এ মহল্লার মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই ! মানুষের দুর্ভোগ লাগবে, মহল্লাবাসীর সহযোগিতায় রাস্তা সংস্কার কাজে অংশ নেন।মহল্লাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বরাদ্দে বা স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানের বরাদ্দে এ রাস্তার কোন সংস্কার কাজ হয়নি।
স্থানীয় সাবেক মেম্বারন এলশাদ আলী ভূষন বলেন, এই রাস্তা সংস্কারের ফলে আরো কয়েকটি এলাকা মানুষ ও স্থানীয় ভিবিন্ন ইউনিয়নের যেমন ছনকান্দা, ডিঙ্গাতলা-চরশ্রীপুর, রামেরচর এলাকার কয়েক হাজার লোক বিভিন্ন শাক-সবজী নিয়ে কুমুম হাটি বাজারে হাট করতে পারবে ।
জুলহাস উদ্দিন বাদশা সাবেক মেম্বার বলেন উক্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মৌখিকভাবে জানানোর পরও এ বিষয়ে তারা কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। অথচ সরকারের টিআর, কাবিখা, কর্মসৃজনসহ বিভিন্ন প্রকল্প বরাদ্দ করা হলেও তা গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারের ক্ষেত্রে কোন উপকার আসছে না। কথায় বলে কাজীর গরু খাতায় আছে গোয়ালে নেই। তাই মহল্লার কয়েকজন স্বেচ্ছাশ্রমে এ রাস্তাটি মেরামত করেছে।