বগুড়ার সোনাতলায় যাত্রীবেশে তিন ছিনতাইকারী ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় চালকের গলায় ছুরি ধরে।
কিন্তু দিনের আলোয় এই ঘটনা স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হলে সাহসী জনতা এগিয়ে এসে দুই ছিনতাইকারীকে পাকড়াও করে এবং একজন পালিয়ে যায়।
আটককৃতদের সোপর্দ করা হয়েছে সোনাতলা থানা পুলিশের হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে ৫ জুলাই শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মহিষাবাড়ি টু পুগলিয়া আঞ্চলিক সড়কের মোড়ে।
ভুক্তভোগী চালক মোঃ খোকন আলী (১৩), সোনাতলা পৌর এলাকার আগুনিয়াতাইড় (মাস্টারপাড়া) গ্রামের মোঃ মহিদুল ইসলামের ছেলে।
সে প্রতিদিনের মতো শনিবার দুপুরে ভাড়া খোঁজার জন্য স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাস্তায় অবস্থান করছিল। এ সময় তিন অপরিচিত ব্যক্তি কর্পূর বাজারে যাওয়ার কথা বলে ৩০০ টাকা ভাড়ায় তার অটোভ্যান রিজার্ভ করে বিভিন্ন এলাকা ঘোরানোর পর বিকালে মহিষাবাড়ি মোড়ে নিয়ে যায়।
সেখানে পৌঁছানোর পর একজন ছিনতাইকারী খোকনের গলায় ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে অটোভ্যান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।
চালক খোকন সাহসিকতা দেখিয়ে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং দুই ছিনতাইকারী মোঃ আপেল মুন্না (২০), পিতা মোঃ সাহাবুল, গ্রাম দক্ষিণ আটকরিয়া, ইউনিয়ন বালুয়া এবং মোঃ শাহিন বেপারী (৩৫), পিতা মৃত মুক্তা প্রমানিক, গ্রাম সুজাইতপুর, ইউনিয়ন সদর—এদের আটক করতে সক্ষম হয়।
তবে অপর ছিনতাইকারী মোঃ জনি ইসলাম (২০), পিতা দিলদার আলী, গ্রাম গবারপাড়া, ইউনিয়ন বালুয়া এবং তার সঙ্গে থাকা আরও ২-৩ জন পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই থানায় উপস্থিত হয়ে চালক খোকনের পিতা মহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে অটোভ্যান ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে উল্লেখিত তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অটোভ্যানসহ আটককৃতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন নবী জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও জনতার সাহসিকতায় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পেরেছি।
ছিনতাই মামলাটি রুজু হয়েছে এবং আটককৃত দুই আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।