শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে খাল পুনঃখনন: ৩ ফসলের স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা, নাব্যতা ফিরে পাচ্ছে খাল

মো:নজরুল ইসলাম,ঝালকাঠি
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৫৭
ছবি-যাযাদি

সেচ কাজের সুবিধার্থে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ও বিনয়কাঠি ইউনিয়নে সোয়া ৩ কিলোমিটার খালের খনন কাজ চলছে। এর মধ্য দিয়ে নাব্যতা ফিরে পাচ্ছে পুরানো এ খাল। আর তিন ফসল আবাদে নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা। বিশেষ করে বোরো মৌসুমে জমিতে সেচ দেওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে খাল খনের কাজ চলেছ। এরই অংশ হিসেবে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ও বিনয়কাঠি ইউনিয়নে ৩ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার খাল খনন চলছে।

এর মধ্যে নবগ্রাম লেগুনা স্ট্যান্ড (ব্রিজ) থেকে বিনয়কাঠি চৌমাথার আগে ১.১৪০ কিলোমিটার, বিনয়কাঠি চৌমাথা থেকে কালিজিরা সংযোগ খালের কড়াপুর পর্যন্ত ২.১১০ কিলোমিটার খনন কাজ চলছে।

খালের প্রশসস্ততা, নাব্যতা, প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে খননের পরিকল্পনা ও নকশা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী খাল খনন কাজের বাস্তবায়ন হচ্ছে।

মেসার্স ন্যাচারাল নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল মান্নান এ কাজ বাস্তবায়ন করছেন। খাল খননে খুশি এলাকাবাসী ও স্থানীয় কৃষকরা।

স্বল্পসেনা গ্রামের কৃষক রত্তন আলী হাওলাদার জানান, বোরো মৌসুমে জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালের পানির ওপর নির্ভর করেন ২ হাজার একর জমির কৃষকরা।

খালটি কাটার পর থেকে কখনো পুনঃখনন করা হয়নি। দুপাশে মাটি জমে খারের স্রোত মরে যায়। পানির অভাবে অনেক জমির বোরো চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যায়। খালটি আবার খননে তিন ফসল চাষ করা যাবে।

আরেক কৃষক কাজী শাখাওয়াত হোসেন সেলিম বলেন, খালটির নাব্যতা সংকটের কারণে বোরো চাষের ওপর নির্ভর চাষিদের পরিবারও চরম সংকটের মধ্যে দিন পার করছিলেন।

খাল খনন হয়ে গেলে ও পানির প্রবাহ ঠিক থাকলে আগামীতে আবারও ক্ষেতগুলো বছরজুড়ে ফসলে ভরে থাকবে। কৃষকের মুখেও হাসি ফুটবে। কৃষক সুমন্ত রায় বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মরা খাল তার যৌবন ফিরে পাবে। এরইমধ্যে যতটুকু খাল পুনঃখনন করা হয়েছে তাতেই এখন এলাকাবাসী স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, সরকার দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সেচ কাজের জন্য খালগুলো খনন শুরু করেছে।

তারই অংশ হিসেবে খাল খননের কাজ ঝালকাঠিতেও শুরু হয়েছে। খাল খননের ফলে এ এলাকার চাষিদের ধান বা অন্য শাক-সবজি চাষে আর পানির সমস্যা থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, কাজের মান সরেজমিন দেখে ভালো মনে হচ্ছে। কাজ দেখার জন্য প্রতিদিনই ঝালকাঠি অফিস থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নাহিদ হাসান তদারকি করছেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে