শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শ্রম অধিকার বাস্তবায়ন ছাড়া গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বিকল্প নেই: জোনায়েদ সাকি

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ মে ২০২৫, ১৮:৪৫
শ্রম অধিকার বাস্তবায়ন ছাড়া গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বিকল্প নেই: জোনায়েদ সাকি
ছবি: যায়যায়দিন

দেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে ‘শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও গণঅভ্যুত্থানের অর্জন রক্ষায় ঐক্য গড়ো’ শীর্ষক এক সমাবেশ ও র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

1

সমাবেশে জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, মর্যাদাপূর্ণ মজুরি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শ্রম সংস্কার কমিশনের যেসব প্রস্তাবে রাজনৈতিক ঐকমত্য আছে, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়ন ছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সমাজে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শ্রমিক-শিক্ষার্থীসহ যে সমস্ত প্রাণ ঝরে গেছে, তাদের বিচার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, গণঅভ্যু্থানের অর্জন রক্ষা করা সম্ভব হবে না যদি দেশের পোশাক শ্রমিকসহ ৮ কোটি শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়িত না হয়। দেশের শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়নের সঙ্গে সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। তাই কমিশনের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন দেশের ৮ কোটি জনগণের অধিকার লড়াইয়ের প্রশ্ন।

সমাবেশে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন। ছাঁটাই-টার্মিনেশন বন্ধ ও বকেয়া পরিশোধ। ১৮ দফা ভিত্তিতে মজুরি মূল্যায়ন ও রেশনিং চালু। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত শিথিল। যৌন নিপীড়ন ও শ্রেণিভিত্তিক ভাষা বন্ধ করে ভয়মুক্ত কর্মপরিবেশ, প্রতি মাসের বেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ডে কেয়ার। শ্রম সম্পর্কিত তথ্যের অধিকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা। শ্রম ইতিহাস সংরক্ষণ ও পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি। গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ। হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও শ্রম আদালতের সংস্কার।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তাসলিমা আখতার। এতে বক্তব্য দেন- শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসান আশরাফ, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা দেব, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সহসভাপতি অঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহীম চৌধুরী, টিএনজেড শ্রমিক নেতা সত্যজিৎ বিশ্বাস, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আলিফ দেওয়ান প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে