নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিএনপির এক পক্ষের হামলায় অন্য পক্ষের একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয়জন। বসতবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের আব্বাছনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম ওরফে সফু (৪২)। তিনি আব্বাছনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং কাঠের কাঠের মিলে কাজ করতেন। অপরদিকে আহতরা হলেন, আলমগীর হোসেন,সৌরভ, শাকিল,লালচান মিয়া, কালা চানসহ অনন্ত ছয়-সাতজন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুর রহমান (রাশেদ) আসন্ন ঈদ উপলক্ষে দুর্গাপুরে শুভেচ্ছা পোস্টার ও ছোট ছোট বিলবোর্ড লাগানো শুরু করেছেন। তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা গতকাল দুপুরে দুর্গাপুর বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগাতে যান এক পর্যায়ে পুলিশ মোড় এলাকায় বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে অপরপক্ষের লোকজন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন এতে বাধা দেন। পরে তাঁর নেতৃত্বে রাত সাড়ে আটটার দিকে একদল লোক আব্বাছনগর গ্রামে গিয়ে হামিদুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালান। হামলায় হামিদুর রহমানের ভাতিজা শফিকুল ইসলাম নিহত হন। এ সময় আরও ছয় থেকে সাতজন আহত হন।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বিষয়টি তদন্তধীন আছে । নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন ও হামলায় জড়িত যাদের তথ্য পাওয়া গেছে ওই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।