তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বা অন্য কোনো সরকারি পদের নির্বাচনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা তার নেই।
হাঙ্গেরি থেকে ফেরার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোগান বলেন, আবার নির্বাচিত হওয়া বা প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।
দেশের সুনাম বৃদ্ধি করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
এরদোগান বলেন, তুরস্ক বদলে যাচ্ছে, বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। আমরা একটি নতুন যুগে বাস করছি।
আপনারা কি মনে করেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল এ পৃথিবীতে তুরস্কের সেই পুরোনো সংবিধান দিয়ে আমরা কিছু অর্জন করতে পারব, যা অভ্যুত্থানের সময় তৈরি এবং অভ্যুত্থানবাদী মনোভাব ধারণ করে?
বিরোধী দলকে সংবিধান পরিবর্তনে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান এরদোগান।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানবাদীদের লেখা সংবিধান নিয়ে তুরস্ক আর এগিয়ে যেতে পারবে না। আমাদের এমন একটি সংবিধান দরকার, যা প্রস্তাব করবে সাধারণ জনগণ, অভ্যুত্থানকারীরা নয়।
প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রায় ২৫ বছর ধরে তুরস্কে ক্ষমতায় রয়েছেন এরদোগান। তিনি ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
দেশটির বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, তার তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে সে জন্য নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আনতে হবে।
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করলেও এরদোগানের ক্ষমতা ছাড়ার ইচ্ছা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
কারণ, গত মার্চে নিজের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও ইস্তান্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতারের পর এরদোগানের মনোভাব নিয়ে জনমনে সংশয় বেড়েছে।
গ্রেফতারের পর ইমামোগলুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জরিপে তার সমর্থন বেড়ে চলছে।