সাত দফা দাবিতে আজ সোমবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, দাবি আদায়ে ১২ দিন ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গ্রামাঞ্চলসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। দেশে ৪ কোটি ৮২ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক। এর মধ্যে আরইবির গ্রাহক ৩ কোটি ৬৮ লাখ। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার।
সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে– আরইবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ, এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি ও পবিস একীভূত করে অন্য বিতরণ সংস্থার মতো পুনর্গঠন; মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করা ইত্যাদি।
দাবি আদায়ে গত বছরের জানুয়ারি থেকে আন্দোলন করছেন সমিতির কর্মীরা। এর ধারাবাহিকতায় গত ২১ মে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। ২২ মে থেকে বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে সমিতিগুলোতে আংশিক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার সমিতির অফিসে গ্রাহকসেবায় ব্যবহৃত অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল ফোন জমা দেওয়া হয়। এতে অনেক এলাকার গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, গ্রাহকসেবা চালু রেখে এবং জনদুর্ভোগ তৈরি না করে কর্মসূচি চালিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তাই আন্দোলন এগিয়ে নেওয়া ছাড়া তাদের গতি নেই।
পল্লী বিদ্যুতের আন্দোলনে গত কয়েক দিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সংহতি জানিয়েছে। গতকাল সংহতি জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, তাদের অনেক দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একটি কাঠামোগত সংস্কার এক দিনেই করা যায় না।