হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা ডিম থেকে পোনা উৎপাদনের পর গতকাল ৩ জুন মঙ্গলবার মৎস্যজীবিরা অনুষ্ঠানিক ভাবে বিক্রি উৎসব করেছে।
প্রথম দিন এই উপজেলার বিক্রি হয়েছে তিন কেজি সাত শত গ্রাম। দাম পাওয়া গেছে প্রতি কেজি এক লাখ ১০ হাজার টাকা। গতকাল বিকালে পোনা বিক্রি উৎসবটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে হালদা নদীর সর্তার ঘাট পয়ন্টে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈরাগী।
তিনি বলেন হালদার এই রূপালী সম্পদ আমাদের দেশের জন্য সৃষ্টিকর্তার আর্শিবাদ। এই সম্পদের খনিকে আগামী প্রজন্মের জন্য ঠিকিয়ে রাখতে হালদা পাড়ের সকল মানুষকে মা মাছ চোরদের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্ছার থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক হালদা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিররিয়া। তিনি বলেন নদীতে জালপাতার বিরুদ্ধে নদীর পাড়ের মানুষের পাশাপাশি প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকার কারণে ডিম সংগ্রহকারীরা আশানুরোপ ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছে। আজ নদীর পাড়ে পোনা বিক্রি উৎসব চলছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি অংছিং মারমা, রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আজাদী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির, স্থানীয় সাবেক পৌর কমিশনার আশেক রসুল রোকন প্রমুখ। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছে রাউজান অংশে প্রথম দিনে ৩ কেজি সাত শত গ্রাম পোনা বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি পোনা বিক্রি হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার টাকা দরে।