শনিবার (২১ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ওয়াসার প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ এবং পরিচালক মো. আইয়ূব আলী।
বৈঠকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়, যা নিম্নরূপ:
নির্মাণ কাজের জন্য পৃথক ট্যারিফের দাবি
বর্তমানে ওয়াসা দুটি ট্যারিফ—আবাসিক ও বাণিজ্যিক— প্রযোজ্য করে। কিন্তু নির্মাণাধীন প্রকল্পে পানি ব্যবহারের ধরন সম্পূর্ণ ভিন্ন হওয়ায় নির্মাণের জন্য একটি মধ্যবর্তী বা বিশেষ ট্যারিফ নির্ধারণের দাবি জানায় রিহ্যাব।স্যুয়ারেজ সুবিধা না নিলেও বিল দ্বিগুণ
আবাসিকে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় হয়রানি নির্মাণ শেষে প্রকল্প আবাসিক ব্যবহারে গেলে ওয়াসা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবাসিক হিসেবে বিল ইস্যু না করে গ্রাহককে ছাদমাপ অনুযায়ী বিল ধরিয়ে হয়রানি করে থাকে—এ অভিযোগ তুলে এই প্রক্রিয়া বাতিলের অনুরোধ জানায় রিহ্যাব।
নিম্নমানের মিটার ও বিল দুর্নীতি বর্তমানে ওয়াসার সরবরাহ করা মিটারগুলো ছয় মাস না যেতেই বিকল হয়ে যায়। এতে রিডিংম্যানরা বিল বেশি ধরিয়ে দেন বা অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ইচ্ছামতো রিডিং দেন। এ দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
ওয়াসার লাইনবিহীন এলাকায় বিল অবৈধ যেসব এলাকায় ওয়াসার কোনো সংযোগ নেই, সেখানে সাবমার্সিবল পাম্প ব্যবহার করে নির্মাণকাজ চালালেও ওয়াসা মোটা অঙ্কের বিল ইস্যু করে। এসব বিল অনৈতিক ও অযৌক্তিক উল্লেখ করে বিল ইস্যু না করার নির্দেশনা চায় রিহ্যাব।
বৈঠকে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান মিয়া রিহ্যাবের সব দাবি বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং বলেন, ‘রিহ্যাবের উত্থাপিত দাবিগুলো ওয়াসার পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ের এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া আরও কোনো দাবি থাকলে সেগুলো রিহ্যাব প্রতিনিধি ও ওয়াসার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
এ বৈঠক নির্মাণ খাতে বিদ্যমান দুর্নীতিমুক্ত, কার্যকর এবং যৌক্তিক পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।