প্রয়োজনে আলু আমদানী করে বাজার স্বাভাবিক রাখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় নীলফামারীতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সরকারি কর্মকর্তা, হিমাগার মালিক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা ওই সভায় অংশ নেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত আলু মজুদ রয়েছে। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে হিমাগার থেকে। সরকারি দরে ২৭টাকা কেজিতে বিক্রি না হয়ে ৩৫টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে, এ কারণে ভোক্তা পর্যায়ে বেড়েছে আলুর দাম। এটা হওয়ার কথা নয়। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে না আসলে আলু আমদানির সুপারিশ করা হবে, যা কারো জন্য সুখকর হবে না’।
জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম-সেবা, সিভিল সার্জন ডা. মোঃ হাসিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুর রহমান, এনএসআই এর উপ-পরিচালক খালিদ হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম, উত্তরা বীজ হিমাগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, মুক্তা হিমাগারের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী, অংকুর সীড এন্ড হিমাগারের মহাব্যবস্থাপক আব্দুস ছাত্তার, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি প্রকৌশলী এস.এম সফিকুল আলম ডাবলু প্রমূখ।
সভায় প্রতিটি হিমাগারে সরকারি দরে আলু বিক্রির ব্যানার প্রদর্শণ এবং ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ নিশ্চিৎ করতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়।
যাযাদি/এসএস