মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দুই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে ‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ) প্রথম সংশোধিত’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্তকাজের দ্বিতীয় ভেরিয়েশনের প্রস্তাব নিয়ে আসা হলে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে।
পরে প্রথম ভেরিয়েশনে চুক্তিমূল্য কমিয়ে ২২৬ কোটি ৭৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৮ টাকা করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ভেরিয়েশনে ১৫টি নন-সিডিউল আইটেম যুক্ত হওয়ায় অতিরিক্ত ৯ কোটি ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এ ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এদিকে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনের ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ (প্রকৌশল সেবা) সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তা’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব দেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনের ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ (প্রকৌশল সেবা) সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তা’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক সেবা ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৩টি প্রতিষ্ঠানের নিকট রিকুয়েস্ট ফর প্রপোজাল ইস্যু করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠানই কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে।
তিনটি প্রস্তাব কারিগরিভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়। প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ওসিজি, সিএইচওডিএআই, জেআইসি, এসএমইসি, এসিই এবং ডিডিসি-কে ১৪১ কোটি ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকায় প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রকল্পটি একনেক থেকে অনুমোদিত হয় ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর। এর মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।