গেল বছরের মে মাসে সবশেষ পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছিলেন হাসান আলি। ঠিক এক বছর পর ফিরে ফাইফারে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন রাঙালেন এই পেসার।
বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমনের পর জাকের-তানজিম-শরিফুলের উইকেটও নিজের ঝুলিতে পুরেন হাসান আলি।
তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৩৭ রানে হারাল স্বাগতিকরা।
বুধবার (২৮ মে) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান।
জবাবে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এতে ৩৭ রানে বড় জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার ইমনকে (৪) হারায় বাংলাদেশ।
আশা জাগিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম৷ ৩ ছক্কা ও ২ চারে ১৭ বলে ৩১ রানে আউট হন তিনি।
এরপর লিটন-হৃদয়ের জুটিতে একশ ছাড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। তবে ৩ ছক্কা ও এক চারে ৩০ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন টাইগার দলপতি।
তখনও ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লিটন ফেরার পরই তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে সফরকারীদের ব্যাটিং অর্ডার।
২২ বলে ১৭ রানে ফেরেন চারে নামা তাওহীদ হৃদয়। এরপর শামীম পাটোয়ারী (৪), রিশাদ হোসেন (৪) পুরোপুরি ব্যর্থ হন। শেষদিকে জাকের আলী ২১ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৩৬ রান করে ফিরলে বড় হার সঙ্গী হয় লিটন বাহিনীর।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারেই দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান। রানের খাতা খোলার আগেই সাইম আইয়ুব এবং ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফখর জামান।
তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটিতে শুরুর বিপর্যয় সামলে নেন মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আঘা। তবে ৪ চার ও এক ছক্কায় ১৮ বলে ৩১ রান করে হারিস ফিরলে ভাঙে এই জুটি। হাফ-সেঞ্চুরির পর পাকিস্তান অধিনায়কও উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৮ চার ও এক ছক্কায় ৩৪ বলে ৫৬ রানে ফেরেন তিনি।
এরপর ঝোড়ো ইনিংসে বড় পুঁজির স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছিলেন হাসান নেওয়াজ। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ২২ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার।
শেষদিকে শাদাব খানও রান বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টায় সফল হন। ২৫ বলে ৪৮ রান যোগ করেন তিনি। ৫ চারের সঙ্গে দুটি ছক্কাও হাঁকান তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে স্পিনার মেহেদী ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে একটি, শরিফুল ৩ ওভারে ৩২ রান খরচায় দুটি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া হাসান, তানজিম, রিশাদ ও শামীম একটি করে উইকেট শিকার করেন।