লালমনিরহাটের তিন উপজেলার পাঁচ সীমান্তপথ দিয়ে একযোগে অন্তত ৩৮ জন ভারতীয় নাগরিককে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এ সময় বিজিবি ও স্থানীয়রা বাধা দিলে, সীমান্ত জুড়ে শুরু হয় উত্তেজনা।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২৮ মে) ভোরে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুরের চওড়াটারি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জন, হাতীবান্ধার বনচৌকি দিয়ে ৬ জন এবং পাটগ্রামের আমবাড়ি, পঁচা ভান্ডার ও ধবলগুড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ১৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তবে বিজিবির বাধায় তারা সীমান্ত পার হতে পারেনি। ফলে পুশইনের শিকার নারী, পুরুষ, শিশুসহ অন্তত ৩৮ জন বর্তমানে ভারতীয় ভূখন্ড কাঁটাতারের ওপারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। সীমান্তে এই ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বিজিবি ও বিএসএফ উভয় বাহিনী।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদি ইমাম জানান, দূর্গাপুরের চরড়াটারি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে ভোরের দিকে পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। পরে বিজিবি ও স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে বিএসএফের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিএসএফ কাঁটাতারের গেট খুলে যাদের বাংলাদেশে পাঠাতে চেয়েছিল, তারা সবাই ভারতের আসাম রাজ্যের বাসিন্দা। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের আহŸান জানানো হয়েছে।
তিস্তা ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মুজাহিদ মাসুম জানান, পাটগ্রামের একাধিক সীমান্ত দিয়ে পুশইনের চেষ্টা চালিয়েছে বিএসএফ। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজিবি ঠেকাতে তৎপর রয়েছেন। বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকাজুড়ে টহল জোরদার করা হয়েছে।