রোববার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কোরবানির গরু এখন ঢাকার বাজারে

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ মে ২০২৫, ১৬:২৭
আপডেট  : ৩০ মে ২০২৫, ১৭:৩৮
কোরবানির গরু এখন ঢাকার বাজারে
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানি উপলক্ষে রাজধানীর অস্থায়ী পশুর হাটে গরু আসতে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু নিয়ে এসে হাটের পাশে অবস্থান নিয়েছেন বেপারীরা। তবে কোরবানি উপলক্ষে স্থাপন করা অস্থায়ী মূল হাটে এখনো গরু উঠতে শুরু করেনি। শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর শাহজাহানপুর অস্থায়ী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায় বাঁশ দিয়ে হাট সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মূল হাটের পাশেই কয়েক জায়গায় গরু নিয়ে অবস্থান করছেন বেশ কয়েকজন বেপারী।

হাটটিতে কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে এসেছেন মো. আসলাম। তিনি বলেন, রাত ২ টার দিকে গরু নিয়ে হাটে এসে পৌঁছেছি। ভালো জায়গা পাওয়ার আশায় আগেভাগেই চলে এসেছি। একটি ট্রাকে ১৪টি গরু নিয়ে এসেছি। আগেভাগে বিক্রি করে গ্রামে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

1

এই ব্যাপারি বলেন, এবার গরুর লালন-পালনের খরচ অনেক বেশি। খাবারের দাম অনেক বেশি। গরুর লালন-পালনের যে খরচ হচ্ছে গ্রামে সেভাবে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। আশা করি ঢাকায় ভালো দাম পাবো।

তিনি বলেন, গরু নিয়ে হাটে অবস্থান করার পর কয়েকজন এসে ঘুরে গেছেন। তবে এখন যে দাম বলছে সেই দামে তা বিক্রি করা যায় না। আমরাও ধরে নিয়েছি আজ-কাল বিক্রি হবে না, এরপর বিক্রি শুরু হবে।

তিনি বলেন, এখন আমরা যে গরুর দাম আড়াই লাখ টাকা চাচ্ছি, গরু দেখতে আসালোকজন দাম দেড় লাখ টাকা বলছে। এই দামে তো আর গরু কেনাবেচা হবে না। বাজারে গরু আসলে তারপর মানুষ ঘুরে ঘুরে পছন্দের গরু কিনতে পারবে।

কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা আরেক বেপারি মো. খাইরুল হোসেন বলেন, আমি প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকায় গরু নিয়ে আসছি। প্রতিবছর এই হাটেই গরু নিয়ে আসে। ঈদের বিক্রি শুরু হওয়ার এখনো দেরি আছে। হাটে ভালো জায়গা পাওয়ার জন্য একটু আগেই চলে এসেছি।

তিনি বলেন, দীর্ঘ রাস্তা পাড়ি দিয়ে গরু নিয়ে আসলে অনেক সময় গরুর গায়ে ব্যথা হয়। তখন গরু একটু দুর্বল থাকে। সে সময় কেউ গরু দেখলে পছন্দ নাও করতে পারে। তাই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতেও একটু আগেভাগেই হাটে আসতে হয়।

গরুর দামের বিষয়ে জানতে চাইলে এই ব্যাপারি বলেন, গরুর দাম কেমন পাওয়া যাবে এখনই বোঝা যাবে না। এখন কিছু মানুষ গরু এমনি দেখতে আসবে, মূল বিক্রি শুরু হবে ঈদের দুই-তিন দিন আগে থেকে। এবার গরুর খাবারের অনেক দাম, তাই আমাদের ধারণা এবার বাজারে গরুর সরবরাহ কম থাকতে পারে। আবার পরিবহন খরচ বেশি। কুষ্টিয়া থেকে এক ট্রাক গরু আনতে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া লেগেছে।

জামালপুর থেকে গরু নিয়ে আসা আরেক বেপারি আবুল কালাম বলেন, এবার মানুষের গরুর প্রতি মানুষের চাহিদা কম। তাই আমরা বড় গরু আনিনি। ছোট ছোট গরু এনেছি। আশা করি, ছোট গরু চাহিদা বেশি থাকবে এবং আমরা ঈদের আগেই গরু বিক্রি করে চলে যেতে পারবো।

কোরবানির গরুর হাটতো এখনো শুরু হয়নি, তাহলে এত আগে এসেছেন কেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, হাটে সামনে জায়গা পাওয়ার জন্য আগে এসেছি। সামনে অবস্থান নিলে মানুষজন দেখে বেশি। এজন্যই আগে আগে এসে হাটের সামনে অবস্থান নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আগে এসে ভালো জায়গা পেয়েছি, তবে বৃষ্টির কারণে বিপদে আছি। বৃষ্টির পানিতে গরুগুলো ভিজে গেছে। আমরাও ভিজে গেছি। এভাবে পানি পড়তে থাকলে তো সমস্যা। গরু এবং আমাদের থাকার যেমন সমস্যা হবে, তেমনি ক্রেতাদেরও বাজারে আসতে সমস্যা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে