বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পক্ষ থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র উপস্থাপনের কর্মসূচি হবে কি হবে না তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মঙ্গলবারের (৩১ ডিসেম্বর) নির্ধারিত কর্মসূচি হবে। তবে ঘোষণাপত্র পেশ করা হচ্ছে না। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সরকার এই ঘোষণাপত্র দেবে।
বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হান্নান মাসুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতনের দিনে ঢাকা শহরের প্রতিটি বাড়িঘর থেকে মানুষ নেমে এসেছিল, মঙ্গলবারও সবাইকে নেমে আসার আহ্বান জানান আব্দুল হান্নান মাসউদ।
এই ছাত্র নেতা অভিযোগ করেন, আমাদের ঘোষণাপত্র উপস্থাপন যেন না হয় সেজন্য দেশি-বিদেশি অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রে বিরুদ্ধে সরকার পেরেক মেরে দিয়েছে। সরকার আমাদের ঘোষণাপত্রের কথা গ্রহণ করেছে। যাতে আমরা বলতে না পারি সেজন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পেরেক মেরে দিয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। সরকার বলেছে, তারাও গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেবে। আমরা কালকে সারাদেশের মানুষকে রাস্তায় নেমে এসে এর পক্ষে শক্তি প্রদর্শন করব।
এর আগে সন্ধ্যায় সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে রাতেই জরুরি বৈঠকে বসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। কয়েক ঘণ্টার বৈঠক শেষে গভীর রাতে তারা কর্মসূচি বহালের ঘোষণা দেন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি হেড কোয়ার্টারে কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আব্দুল হান্নান মাসউদ জানান, এই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। তিনটা থেকে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান।
যাযাদি/ এস