জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার দিনে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে অংশ নিতে আসা হাজারো পরীক্ষার্থী।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ১৩৭টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরই অংশ হিসেবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজেও পরীক্ষাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে ভিক্টোরিয়া কলেজ ডিগ্রি শাখার কলা ভবন, দর্শন ভবন ও বিজ্ঞান ভবন-২ এর নিচতলার মেঝে একেবারে পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ভেজা পায়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে হাঁটু পর্যন্ত পানি মাড়িয়ে পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে হয় পরীক্ষাকক্ষে। পরীক্ষার্থীদের জুতা খুলে বেঞ্চে পা তুলে বসতেও দেখা গিয়েছে৷
পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা নাজমুল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পানি মাড়িয়ে কলেজের ভেতরে ঢোকার পর দেখি পুরো নিচতলার মেঝে পানিতে ডুবে আছে।
কলেজের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা এই কলেজের দীর্ঘদিনের সমস্যা। বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই এই ভবনগুলোর নিচতলায় পানি জমে। বারবার বলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। মেঝে উঁচু করার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি।’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাশার ভূঁইয়ার কাছে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে লেগেই থাকে প্রতিবছর বর্ষার সিজনে।
মেঝেগুলো উঁচু করেও সুফল মিলছে না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। এগুলোর জন্য মূলত আশপাশের হাউজিংগুলো ও বিসিক দায়ী।
তাদের পানিগুলো গড়িয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজের পুকুরে আসে। সেগুলো উঁচু করে করা, আর আমাদের কলেজ নিচু। আমাদেরকে এখন একটু কষ্ট করে মোকাবিলা করতে হবে।
আমরা চারদিকে বাউন্ডারি করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটা হলে আশপাশের পানি আর প্রবেশ করতে পারবে না। এ প্রকল্প পাস হলে আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।’