রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগসংক্রান্ত নতুন নীতিমালা ও একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলা অনুষদভুক্ত সকল বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করেন হাইকোর্ট বিভাগ। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ২৫ জুনে শুনানি শেষে হাইকোর্টের দেওয়া এ আদেশকে স্থগিত করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের মহামান্য চেম্বার জজ। ফলে কলা অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো বাধা থাকল না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের প্রশাসক অধ্যাপক আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, গত ২ জুনে হাইকোর্ট বিভাগ কলা অনুষদের শিক্ষক নিয়োগ ৬ মাসের জন্য স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন। এটি আমরা ১৫ তারিখে জানতে পারি। জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা আপিল বিভাগে আপিল করি। ২৫ তারিখে এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত করে দেয় আপিল বিভাগ।
তিনি আরো বলেন, আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রাখতে কোনো বাধা থাকল না। এখন মামলার শুনানি চলতে থাকবে, অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চলতে থাকবে। আপিলের মেরিট দেখেই খুশি হয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে এবং আরও কিছু আদেশ দিয়েছে যা আমরা এখনো পাইনি।
এর আগে, বুলবুল রহমান নামের উর্দু বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের এক শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট পিটিশন (নং ৮৮৩৭/২০২৫) দায়ের করে অভিযোগ করেন। তিনি রাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। রিট পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেন, এ বছরের ১৫ এপ্রিলে প্রকাশিত 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নয়ন ও পদায়ন নীতিমালা, ২০২৫' এবং এর ভিত্তিতে ৩০ এপ্রিলে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নং ০১/২০২৫-এর শর্ত নং-১ তাকে আবেদন করতে বাধা দিচ্ছে। যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) কর্তৃক ২০২১ সালে প্রকাশিত ন্যূনতম যোগ্যতার গাইডলাইন লঙ্ঘন করছে।
গত ২ জুনে বিচারপতি ফাতেমা নাজিব এবং বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজি সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রিটের শুনানি শেষে কলা অনুষদভুক্ত সকল বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করেন। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আপিলের মেরিট দেখে হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।