বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

চমেক হাসপাতালে ফের ইন্টার্নদের কর্মবিরতি

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  ১২ মার্চ ২০২৫, ১৮:৫৪
চমেক হাসপাতালে ফের ইন্টার্নদের কর্মবিরতি
ছবি: যায়যায়দিন

এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া দেশের চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহারের বৈধতা নিয়ে করা রিটের রায়কে কেন্দ্র করে পাঁচ দফা দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দফায় তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নামেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) এর ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ সারা দেশের মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় জরুরি বিভাগ ছাড়া সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে হাসপাতালে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পরেও দাবি আদায়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখনো দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা শুধু আশ্বাসই পেয়েছি, বাস্তবসম্মত কোনো সমাধান হয়নি।

বুধবার (১২ মার্চ) সকালে চমেক অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে ইন্টার্ন চিকিৎসক কাউন্সিলের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় দাবি আদায়ে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও কথা বলেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এতদিন আন্দোলন চলমান থাকার পরও যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। যা খুবই দুঃখজনক। ম্যাটস, ডিএমএফসহ কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না। এ ছাড়া চিকিৎসকদের চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর থেকে বাড়াতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন বলে জানান।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও নগরীর মা ও শিশু হাসপাতাল, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মেরিন সিটি এবং সাউদার্ন মেডিকেলের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও এ কর্মসূচি পালন করছেন।

২০১৩ সালে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) ডিগ্রিধারী সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের (স্যাকমো) কয়েকজন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) আইনের কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহারের অনুমতির জন্য আদালতে রিট দায়ের করেন। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল এই রিটের প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রিটটি ৬৭ বার কজ লিস্টে এলেও ব্যাখ্যাহীন কারণে এ বিষয়ে কোনো শুনানি হয়নি। দীর্ঘ আইনি জটিলতার পর, গত বছরের (২০২৪ সালে) ২৫ ফেব্রুয়ারি রিটের ৯১তম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। তারপর থেকে টানা আন্দোলনে নামে চিকিৎসকসহ মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলছেন, জনসাধারণকে অপচিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা করা, স্বাস্থ্যখাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং চিকিৎসা পেশার মর্যাদা রক্ষায় পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়ন জরুরি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘আমলাতান্ত্রিক কূটকৌশলের’ প্রতিবাদে তারা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।

এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিএমডিসি বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পরিস্থিতি যেকোনো সময় উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে