করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে তিনদিন পর দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে।
আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, যিনি মারা গেছেন তিনি একজন পুরুষ। তার বয়স ছিল ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। ঢাকা বিভাগের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ০২ শতাংশ।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় দুইজন, ময়মনসিংহ বিভাগে নয়টি নমুনা পরীক্ষা করে দুইজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৬টি নমুনা পরীক্ষায় ছয়জন এবং খুলনায় ৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে সাতজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দেশে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর দেশে শুক্রবার পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ৩১ হাজার ২৪১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫২ হাজার ৭৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫১৯ জনের।
কোভিড মহামারী শুরুর পর প্রথম বছর ২০২০ সালে ৭৫৫৯ জনের প্রাণ কেড়েছিল করোনাভাইরাস। এরপর সবচেয়ে বেশি ২০ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল ২০২১ সালে। এরপর ২০২২ সালে ১৩৬৮ জন এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন এবং ২০২৪ সালে ২২ জন মারা যায় কোভিডে।
ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলেছে।