সৌদি আরব সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা হবে না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল সৌদি আরব।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদি আরব জোরালোভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। এতে বলা হয়, পূর্ব জেরুসালেম-সংবলিত ১৯৬৭ সালেল সীমান্তের ভিত্তিতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি 'আগ্রাসন' বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে না।
উল্লেখ্য, ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরবকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সোমবার সৌদি আরবের কার্যত শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাথে সাক্ষাত করে নতুন করে বিষয়টি উত্থাপন করেন। মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রথম দিনই তিনি সৌদি আরব যান। চার মাস ধরে চলা গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রেক্ষাপটে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচটি দেশ সফর করছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে দু'ঘণ্টার বৈঠকে ব্লিনকেন 'আরো একীভূত অঞ্চল নির্মাণ' নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই পরিভাষাটি দিয়ে ইসরাইল-সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিকরণের কথাই বোঝানো হয়ে থাকে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, গাজায় মানবিক সমস্যার সুরাহা এবং সঙ্ঘাত যাতে আরো না ছড়িয়ে পড়ে, তার ওপরও বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়।
তারা আরো জানায় যে সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা এখনো ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী। তবে তা নির্ভর করছে ভবিষ্যতে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ সৃষ্টিতে ইসরাইলের রাজি হওয়ার ওপর। উল্লেখ্য, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর আরো জানায়, মার্কিন মন্ত্রী এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেবে, এমনভাবে গাজার সঙ্কট টেকসইভাবে নিরসনের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা বলেন।
ব্লিনকেনের মিসর, কাতার, ইসরাইল ও পশ্চিম তীর সফর করার কথা রয়েছে। তিনি মিসর ও কাতারের মধ্যস্ততায় বন্দী মুক্তির প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা করবেন। সূত্র : রয়টার্স, টাইমস অব ইসরাইল
যাযাদি/ এস