গাজা ও লেবাননে ইসয়ায়েলের হামলার জবাবে ইসরায়েলে বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধ আরও বড় আকার ধারণ করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েল বলেছে, ইরানের হামলার প্রত্যুত্তর দেবে তারা। দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলকে রক্ষা করার ঘোষণা দিয়ে বলেছে ইরানকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ইরানের ঠিক কোন জায়গাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে ইসরায়েল তা নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে। বেলজিয়ামভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরান সংক্রান্ত পরিচালক আলী ভায়েজ আল জাজিরাকে বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতেই হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
তবে তেহরান বলেছে, মিসাইল হামলার জবাবে ইসরায়েল যদি কোনো ধরনের পাল্টা হামলা চালায় তবে ইরান আরও ভয়াবহ হামলা চালাবে।
তবে আলী ভায়েজ মনে করেন, ইরানের সঙ্গে তৈরি হওয়া সংকট কূটনৈতিকভাবে সমাধান হলে তা ইসরায়েল মোটেও পছন্দ করবে না। তার মতে, ইরানের মিত্র হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। এ কারণেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচির স্থাপনাগুলোতে হামলার সম্ভাবনা এখন সবচেয়ে বেশি।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলকে রক্ষায় কাজ করছে ওই অঞ্চলে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা। এই পরিস্থিতিতে ইরানে পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালানোর এমন সুযোগ ইসরায়েলের সামনে আর নাও আসতে পারে।
তবে ইরানের যেখানেই হামলা হোক সেটা যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই আলী ভায়েজের।
যাযাদি/ এস