বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ সাথে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরে চলমান আন্দোলন রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। সহিংস রূপ নেওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম গুরুত্বের সঙ্গে এই বিষয়ে খবর পরিবেশন করছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি, মঙ্গলবার চলমান ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে ‘বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে বিক্ষোভে নিহত ৩’ শিরোনামে প্রতিবেদনে বলেছে, লোভনীয় সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর সহিংস সংঘর্ষে বাংলাদেশে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবারের এই সংঘর্ষে আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে, সোমবার দেশজুড়ে বিক্ষোভ সহিংসতায় আরও ৪০০ জনের বেশি আহত হন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স, ‘বাংলাদেশে কোটা-বিরোধী সহিংস বিক্ষোভে শিক্ষার্থী নিহত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে কোটাবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছেন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। কোটাবিরোধী বিক্ষোভকারীরা দেশের প্রধান প্রধান মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন।’
কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনের শিরোনাম বাংলাদেশে চাকরির কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে আহত অন্তত ১০০, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের সাথে সরকারপন্থী ছাত্র সংগঠনের সহিংস সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিপেটায় অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন। বাংলাদেশে কোটা ব্যবস্থায় নারী, প্রতিবন্ধী এবং জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য সরকারি চাকরি সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রায় একই ধরনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঘটনায় ২০১৮ সালে এই কোটা ব্যবস্থা স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু গত মাসে হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল করার রায় দেন। হাইকোর্টের এই রায়ের পর দেশজুড়ে নতুন করে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।’
যাযাদি/ এম