আন্তর্জাতিক

অনেকেই হয়ত শুনে অবাক হবেন, ব্রিটেনের থেকে আকারে অনেক ছোট দেশ থাইল্যান্ডের রাজা মহা বজ্রলোংকোর্ন ব্রিটেনের রাজা চার্লসের থেকে বহু গুণে ধনী।

নিজের দেশে বজ্রলোংকোর্নকে ‘রামা এক্স’ নামেও ডাকা হয়। তিনিই বিশ্বের ধনীতম রাজার মুকুটটি মাথায় তুলেছেন। তার সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ৩০-৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় চার্লসের সম্পদের পরিমাণ ৭৪৭ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সেই হিসাবে থাইল্যান্ডের রাজা তার থেকে কয়েক গুণ বড়লোক।

রাজধানী ব্যাংককে তার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া প্রায় ১৭ হাজারটি সম্পত্তি রয়েছে। গোটা শহরে মাত্র গুটিকয়েক লোকের হাতে এর কাছাকাছি জমিবাড়ি আছে। এর মধ্যে প্রাচীন প্রাসাদ ছাড়াও পাঁচ-সাত তারকা হোটেল এবং বাণিজ্যিক ভবনও রয়েছে।

রাজবাড়িতে তার রয়েছে ৩০০টি দুষ্প্রাপ্য, বিলাসবহুল সিগনেচার গাড়ি। শুধু ক্ল্যাসিক রোলস রয়েসই রয়েছে বেশ কিছু। এছাড়াও বর্তমান যুগের বিভিন্ন অমূল্য গাড়ির সংগ্রহ তো অনেক রয়েছে। বলা যায়, তার গ্যারাজে প্রায় সব কোম্পানির, সব মডেলের একটি করে গাড়ি রয়েছে।

এছাড়া আকাশে ওড়ার জন্য মহা বজ্রলোংকোর্নের রয়েছে ৩৮টি ব্যক্তিগত জেট বিমান। পাশাপাশি ৫২টি বিলাসবহুল সোনার নৌকা রয়েছে যেগুলো রাজার বাড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পানিতে ভাসানো হয়।

মহা বজ্রলোংকোর্ন ২০১৬ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর রাজ সম্পত্তি ব্যুরোর অধীন থেকে এসব সম্পদের মালিকানা পান। এই সংস্থাই রাজসম্পত্তির দেখভাল ও ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

মহা বজ্রলোংকোর্ন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ২০১৮ সালে। ১৯৫২ সালে বাবা ভূমিবল এবং মা রানি সিরিকিটের ঘরে জন্ম নেন এই রাজা। তিনি ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় সামরিক প্রশিক্ষণ নেন। জেট বিমান ও হেলিকপ্টার চালনায় অত্যন্ত পারদর্শী এই রাজা।

১৯৭২ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার ডানট্রুনের রয়েল মিলিটারি কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তার শিক্ষা দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল, অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনীতে সামরিক প্রশিক্ষণ এবং নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় স্নাতক ডিগ্রি কোর্স। তিনি ১৯৭৬ সালে একজন নতুন লেফটেন্যান্ট হিসেবে লিবারেল আর্ট বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন।

এরপর ১৯৮২ সালে, তিনি সুখোথাই থাম্মাথিরাত উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে দ্বিতীয় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সূত্র: আল-জাজিরা এবং ফিনানশিয়াল এক্সপ্রেস