নতুন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। তারা যে কোনো সময় ইরানে হামলা করতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আগামী দিনে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে ইসরায়েল। মার্কিন সমর্থন ছাড়াই তারা হামলা করবে।
এই প্রতিবেদনগুলো এমন এক সময়ে এসেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পারমাণবিক কর্মসূচি হ্রাস করার জন্য একটি কূটনৈতিক চুক্তি নিয়ে অগ্রসর হতে চাইছেন তিনি। যদিও আলোচনাটি প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে বলে খবর বেরোচ্ছে; তবু রোববার (১৫ জুন) ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে বৈঠক হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।
ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে আলোচনা ভেস্তে গেলে হামলার হুমকি আগেই দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি দফায় দফায় জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলকে আগ বাড়িয়ে হামলা থেকে বিরত রেখেছেন তিনি। তবে এবার মনে হচ্ছে, ইসরায়েল বড় ধরনের আক্রমণ করতে উদ্ধত।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার ইরানের ওপর হামলার কথা বিবেচনা করছে।
ক্যাপিটল হিলের একজন সহকারী এবং বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত অন্যান্য সূত্র স্কাই নিউজের মার্কিন অংশীদার নেটওয়ার্ক এনবিসি নিউজকে তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কর্মী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীলদের ইরাক থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ঠিক কী কারণে এই অপসারণের কারণ তা বলেননি কর্মকর্তারা। তবে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস জানিয়েছে, তাদের বলা হয়েছে ইসরায়েল ইরানে অভিযান শুরু করতে প্রস্তুত।
তাই অপ্রয়োজনীয় দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (১১ জুন) কর্মী সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। বৃহস্পতিবারও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই কারণেই কিছু আমেরিকানকে এ অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইরান ইরাকের কিছু মার্কিন স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। সূত্র : এনবিসি নিউজ, নিউইয়র্ক টাইমস ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ