দেশের ফুটবলের দিন বদলের সবচেয়ে বড় নায়ক হামজা চৌধুরী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলারের আগমনেই জাদুর কাঠির মতো বদলে গেছে দেশের ফুটবল।
ডুবতে থাকা ফুটবলে এসেছে নতুন জোয়ার। নব্বইয়ের দশকের পরে নতুন করে দেশে শুরু হয়েছে ফুটবল উন্মাদনা
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা আর কোনো ফুটবলার নেই দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো দলে। ফলে হামজাকে নিয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে আগ্রহ পুরো দক্ষিণ এশিয়াতে।
ফুটবলপ্রেমীদের অনেকের মনে প্রশ্ন, কত টাকা বেতন পান হামজা? তার আয়ই বা কত?
গত মৌসুমের মধ্যবর্তী দলবদলে লেস্টার সিটি ছেড়ে শেফিল্ড ইউনাইটেডে নাম লিখিয়েছিলেন হামজা। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে।
আবারও বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ সুপারস্টারের ঠিকানা। তাই হামজার আয়ের মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে।
ফুটবল অর্থনীতি ও বাণিজ্য নিয়ে কাজ করা গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ক্যাপোলজি ক্যাপোলজির তথ্য অনুযায়ী, শেফিল্ড ইউনাইটেডে সপ্তাহে ৪১ হাজার ৪৭৩ ইউরো (৫৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা) বেতন পেতেন হামজা। প্রতিদিন যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ হাজার ৯২৪ ইউরো (৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা)।
চুক্তি অনুযায়ী, হামজার শেফিল্ডে খেলার কথা ছিল ২৭ জানুয়ারী থেকে ৩১ মে পর্যন্ত। এই ১২৪ দিনে তাঁর পাওয়ার কথা ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৬ ইউরো (১০ কোটি ২৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা)। ক্যাপোলজির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ মৌসুমে হামজাই ছিলেন শেফিল্ডের সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত ফুটবলার।
শেফিল্ডে যাওয়ার আগে হামজা খেলেছেন লেস্টার সিটিতে। প্রিমিয়ার লিগের এই ক্লাবটিতে অবশ্য হামজার বেতনের অংকটা একটু কম ছিল।
লেস্টারে সপ্তাহে পেতেন ১৭ হাজার ৭৭৪ ইউরো (২৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা)। দৈনিক যার পরিমাণ দাঁড়ায়, ২ হাজার ৫৩৯ ইউরো (৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা)।
এই বেতন শেফিল্ডে পাওয়া বেতনের অর্ধেকেরও কম।
হামজা চৌধুরীর ছবি তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া