ইরানে ইসরাইলি হামলার পর মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (১৩ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এ বৈঠক হওয়ার কথা। খবর রয়টার্স।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ট্রাম্প প্রশাসন গত কয়েক মাস ধরে তেহরানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ওমানে রোববার ছয় নম্বর দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, যেখানে তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ে আলোচনা হতো। কিন্তু ইসরাইলের সামরিক অভিযানের পর সেই আলোচনা হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ইসরাইল জানিয়েছে, তারা ইরানের পরমাণু প্রকল্প, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্র ও সামরিক নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তাদের মতে, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি অভিযান হতে যাচ্ছে, যার লক্ষ্য—তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ থেকে ফেরানো।
এ হামলার দায় নিতে চাইছে না ট্রাম্প প্রশাসন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ‘আমরা ইরানে কোনো হামলায় জড়িত নই। আমাদের অগ্রাধিকার এখন—মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন জানান, ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান সংলাপ থাকলেও এই হামলার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে ইসরাইলের। সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ইসরাইলি নেতৃত্বের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে জল্পনা করা উচিত নয়।’
ইসরাইলি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাসের সব কর্মচারী ও তাদের পরিবারকে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ নির্দেশ দিয়েছে। দূতাবাস থেকে দেয়া এক নিরাপত্তা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং জটিল।
এছাড়া প্রয়োজনবোধে ইসরাইল ও পশ্চিম তীরের কিছু এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হতে পারে।