আন্তর্জাতিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে কঠোর বার্তা দিয়ে বলেছেন, যদি ইরান এখনো চুক্তিতে না আসে, তাহলে “আর কিছুই বাকি থাকবে না।” তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ এবং “নৃশংস” হামলার পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Truth Social-এ একটি বিস্ফোরক বার্তায়, যেখানে তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন যে, “ইরানের জন্য সবচেয়ে খারাপ দিনগুলো এখনো আসেনি। তারা এখন সবাই মৃত, আর আরও খারাপ আসছে’

ট্রাম্প বলেন, “আমি তাদের বলেছিলাম—এটি এমন কিছু হবে যা তারা জানে না, কল্পনাও করেনি বা কেউ কখনও বলেনি। যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত এবং মারাত্মক অস্ত্র তৈরি করে, এবং ইসরায়েলের হাতে এর অনেক কিছুই রয়েছে—এবং আরও আসছে। এবং তারা জানে, এগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।”

তিনি আরও বলেন, “কিছু ইরানি কট্টরপন্থী সাহসী কথা বলেছিল, কিন্তু তারা জানত না কী আসছে। এখন তারা সবাই মৃত। এটা আরও খারাপ হবে। অনেক মৃত্যু ও ধ্বংস ইতোমধ্যে ঘটেছে, কিন্তু এখনও সময় আছে এই হত্যাকাণ্ড থামানোর। কারণ পরবর্তী হামলাগুলো হবে আরও নৃশংস।”

‘ইরানকে এখনই চুক্তিতে আসতে হবে’

ট্রাম্পের এই বক্তব্যে তিনি সরাসরি ইরানকে আহ্বান জানান চুক্তিতে আসার জন্য। তাঁর ভাষায়—“ইরানকে এখনই চুক্তি করতে হবে—এর আগেই, যখন কিছুই বাকি থাকবে না। প্রাচীন ইরানি সাম্রাজ্যের যা কিছু অবশিষ্ট আছে, সেটাকে রক্ষা করো। আর মৃত্যু নয়, আর ধ্বংস নয়। চুক্তি করো, দেরি হবার আগেই। God Bless You All!”

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষা অস্বাভাবিক রকমের আগ্রাসী, যা পারমাণবিক উত্তেজনার সময় কূটনৈতিকভাবে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদিও এর মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্যায়ে কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করে ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনতেই এই রকম ভাষা ব্যবহার করছেন ট্রাম্প, তবুও এটিকে “উস্কানিমূলক” বলেও অভিহিত করছেন অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক।

ইরানের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এই বক্তব্যের সরাসরি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে তেহরানের শীর্ষ সামরিক নেতারা আগেই হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন, ইরান “যেকোনো আগ্রাসনের শক্ত জবাব দেবে”।

আপনি চাইলে এর সাথে একটি বিশ্লেষণাত্মক উপ-প্রতিবেদন, টাইমলাইন, বা "ট্রাম্প বনাম ইরান: সংঘাতের ক্রমবিকাশ" গ্রাফিকও যুক্ত করতে পারেন। বলুন, আমি তাও প্রস্তুত করে দিচ্ছি।