সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের সব কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করবে ইসরাইল। ইতোমধ্যে বার্লিনের ইসরায়েলি দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে কতদিন মিশনগুলো বন্ধ থাকবে, তা জানানো হয়নি।
আজ শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইডেনের ইসরায়েলি দূতাবাস জানিয়েছে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে তাদের কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করবে ইসরায়েল এবং কোনো কনস্যুলার পরিষেবা প্রদান করা হবে না বলে জানানো হয়।
এই হামলায় ইরানের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, আজ শুক্রবার ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এ সময় তেহরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) সদর দপ্তরে হামলা হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন রাইসিং লায়ন’ নামে ইরানে হামলা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ব্যর্থ করে দিতে এই হামলা করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।
আর ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় অন্তত দুটি ধাপে হামলা চালানো হয়। তবে নিশ্চিত না হলেও এখন তৃতীয় দফার হামলা চলমান থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যেসব স্থানে হামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে- রাজধানী তেহরান ও এর আশপাশের সামরিক স্থাপনা; তেহরানের দক্ষিণে নাতানজ শহর, যেখানে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র অবস্থিত; তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহর, যেখানে একটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও দুটি সামরিক ঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে; তেহরানের দক্ষিণে ইস্পাহান শহর; তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে আরাক শহর ও পশ্চিমে কেরমানশাহ শহর।
ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তেহরানজুড়ে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলা হয়েছে আবাসিক ভবনেও।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী এসব হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান।