সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করে ইরানের ওপর ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
শনিবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) খবরে বলা হয়েছে, যুবরাজ এই হামলাকে ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইন ও প্রথার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, ইসরাইলি হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে চলমান কূটনৈতিক সংলাপ ব্যাহত করেছে এবং উত্তেজনা প্রশমনে ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে গৃহীত উদ্যোগগুলোতে বিঘ্ন ঘটিয়েছে।
মোহাম্মদ বিন সালমান জোর দিয়ে বলেন, বিরোধ নিষ্পত্তিতে বলপ্রয়োগের নীতি গ্রহণযোগ্য নয় এবং মতপার্থক্যের সমাধানে সংলাপই হওয়া উচিত মূল ভিত্তি।
শুক্রবার ইসরাইল ইরানে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
এতে দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তারা নিহত হন বলে তেহরান জানিয়েছে। হামলায় ৭৮ জন নিহত হয়েছে। শনিবার উভয় দেশ পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়ে।
আলোচনার সময় সৌদি যুবরাজ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
উত্তরে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সৌদি বাদশাহ সালমানকে ধন্যবাদ জানান হজ মৌসুমে ইরানি হজযাত্রীদের সেবা ও নিরাপদে দেশে ফেরার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
এর আগে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ওই আলোচনায় ইরানে ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়া ও পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
তারা অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমনে এবং কূটনৈতিক উপায়ে বিরোধ সমাধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
এছাড়া, যুবরাজ মোহাম্মদ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। ইরানে ইসরাইলি হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে এসপিএ জানিয়েছে।