ইরানে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরানও।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই ঘনাচ্ছে উত্তেজনার মেঘ। এর মধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
মুসলিম বিশ্বের ইরান ও পাকিস্তানকে ঘিরে দেওয়া এক পুরোনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও আবারও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ওই সাক্ষাৎকারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন যে ইসলামি মিলিটাইজেশনকে কেন্দ্র করে ইরান ও পাকিস্তান এই অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে এবং এ দুটি দেশই থাকতে পারে ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট।
নেতানিয়াহু বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় পাকিস্তানকে অত্যন্ত সাবধানে ও দূরদর্শিতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কী পথ বেছে নেবে।
তার ভাষায়, এখনই পাকিস্তানে উচিত একটা সুস্পষ্ট ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া— তারা কি ইরানে বিশ্বাস ও বন্ধুত্ব বজায় রাখবে নাকি আত্মরক্ষায় আলাদা পথ নেবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি এরই মধ্যেই লাখোবার দেখা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
অনেকেই বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে, তা আরও বিস্তার পেতে পারে এবং এর সুদূরপ্রসারী পরিণতি পেতে পারে।
এদিকে ইরানে হামলা করার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু তাকে ইসরায়েলের ‘রাইজিং লায়ন’ অপারেশন সম্পর্কে অবহিত করে এবং চলতি পরিস্থিতির উত্তেজনায় ভারতের ‘উদ্বিগ্নতা’ জানান মোদি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে মোদি জানান, শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছ থেকে তিনি একটি ফোন পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু আমাকে ফোনে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। আমি এই ইস্যুতে ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি এবং জোর দিয়েছি যে, এই অঞ্চলে দ্রুত শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা জরুরি।’