মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলায় কথা বললেই ভারতীয়দের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, লজ্জা: মমতা

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:৫৪
আপডেট  : ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:৫৬
বাংলায় কথা বললেই ভারতীয়দের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, লজ্জা: মমতা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে ভারতীয়দের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার (১৬ জুন) বিধানসভায় দেওয়া বক্তব্যে এর জন্য ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে দায়ী করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বিধানসভায় দেওয়া বক্তব্যে মমতা বলেন, ‘বাংলা ভাষায় কথা বললে বাংলাদেশি বলা হচ্ছে। বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লজ্জা করে না আপনাদের!

আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং অন্য পরিচয়পত্র থাকার পরেও শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার এই কাজ করেছে। আমি তাদের ধিক্কার জানাই।’

সম্প্রতি ভারত থেকে সীমান্তে পুশ ইন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজিবির হিসাবে, গত ৭ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত পুশইন করানো হয়েছে ১ হাজার ২৪৪ জনকে। দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর বৈঠক এবং কূটনৈতিক তৎপরতার পরও তা বন্ধ হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সীমান্তে পুশ ইন না করে বাংলাদেশি নাগরিকদের কূটনৈতিকভাবে ফেরত পাঠাতে ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।

আনন্দ বাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, মহারাষ্ট্রে কাজ করতে যাওয়া তিন পরিযায়ী শ্রমিককে সম্প্রতি বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে মুম্বাই পুলিশ। পরে তাদের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়। বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের নজরে এলে রাজ্য প্রশাসনের সহযোগিতায় ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে তাদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।

পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই তিনজনই পশ্চিমবঙ্গেরই বাসিন্দা। এদের দুই জন মুর্শিদাবাদের আর একজনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে।

সম্প্রতি, মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও আসামসহ কয়েকটি রাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে মোদি সরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে