ইরানের রাজধানী তেহরান ও পশ্চিমে অবস্থিত শহর কারাজে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাদের বিমান বাহিনী ইরানের ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও সংরক্ষণ স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সৈয়দ আবদোলরাহিম মুসাভি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ হামলার ঘোষণা দিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভির বরাতে জানা গেছে, মুসাভি বলেছেন, এখন পর্যন্ত পরিচালিত অপারেশনগুলো ছিল সতর্কতা। শাস্তিমূলক অপারেশন শিগগিরই কার্যকর করা হবে।
এরইমধ্যে ইসরায়েলের এক গোয়েন্দা স্থাপনায় রাডার ফাঁকি দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এই ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক স্তরের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনার বরাতে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজা তালায়ি-নিক বলেছেন, আজকের হামলায় আমরা এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছি যা শনাক্ত করা বা বাধা দেওয়া যায়নি।
তিনি হুঁশিয়ারি করে বলেছেন, এই অপারেশন ইসরায়েলিদের জন্য ‘আকস্মিক’ একটি ঘটনা। তারা এমন ঘটনা আরও দেখতে পাবে।
তালায়ি-নিক আরও বলেন, ইসরায়েল দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের জন্য প্রস্তুত না। কিন্তু ইরানের সামরিক বাহিনী অনেক উন্নত। যার কিছুই এখনো মোতায়েন করা হয়নি।