ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যোগ দিলে চুপ থাকবে না তেহরান। সেকারণে এখন থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে নিশানা করে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইরান।
‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকাকে এমনটাই জানিয়েছেন ইরানের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তারা বলেছেন, ইরান প্রথমে ইরাকে থাকা মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাবে। এরপর অন্যান্য আরব দেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাবে ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ফরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা পরিকল্পনায় সমর্থন দেওয়ার কথা বিবেচনা করার মধ্যেই ইরানের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা প্রস্তুতির এই খবর এল।
ইরানের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনা, যেটি এখনও পর্যন্ত টিকে রয়েছে, সেটিকে লক্ষ্য করেই নতুন হামলার পরিকল্পনা চলছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী চান, ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপণা ফর্দোয় বোমা ফেলুক যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, এই স্থাপনা ধ্বংস করতে যে বোমা দরকার তা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের আছে।
এ পরিস্থিতিতেই ইরানের আশঙ্কা, যে কোনও সময় যুক্তরাষ্ট্র তাদের উপর হামলা চালাতে পারে। আর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পাল্টা জবাব দেবে ইরানও।
তেহরানের কর্মকর্তারা আরও সতর্ক করে বলেছেন, প্রয়োজনে ইরান হরমুজ প্রণালীতে মাইন পেতে দিতে পারে। এই প্রণালী বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ।
সেখানে মাইন পেতে দেওয়া হলে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এতে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বাড়তে পারে হঠাৎ করেই।
তাছাড়া, ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরাও আবার লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উড়োজাহাজগুলোকে আটলান্টিক পেরিয়ে যেতে দেখা গেছে, যা ওয়াশিংটনের তরফে সামরিক প্রস্তুতি জোরদারের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ওদিকে, দ্য টেলিগ্রাফকে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প এখন এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়ানোর ব্যাপারে আগের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।