ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এক কড়া বার্তায় জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শর্তহীন আত্মসমর্পণ’ দাবিকে তারা কখনোই মেনে নেবে না। বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক উপস্থাপক খামেনির লিখিত বিবৃতি পাঠ করে শোনান।
এটি ছিল ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা শুরুর পর খামেনির প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইরানকে শান্তি অথবা যুদ্ধের পথে ঠেলে দেওয়ার অধিকার কোনো বিদেশি শক্তির নেই। ইসলামি প্রজাতন্ত্র তার সার্বভৌম সিদ্ধান্তে অটল থাকবে।”
খামেনির এই ঘোষণাকে বিশ্লেষকরা ইরানের প্রতিরোধের বার্তা হিসেবেই দেখছেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য ও প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে ইরানকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করে সামরিক কার্যক্রম ও পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “তেহরানের ৯০ লাখ নাগরিকের জীবন রক্ষায় তাদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।”
এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় ইতোমধ্যে তেহরান ও কারাজের দুটি সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (IAEA) নিশ্চিত করেছে।
এদিকে ইরানও “শাস্তিমূলক প্রতিক্রিয়া” জানানোর ঘোষণা দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে ইসরায়েল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করেছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চরমে উঠছে।
বিশ্ব নেতারা উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানালেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী দিনগুলোতে এই সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।